এক আইনজীবী জানান, ২০১৯-র সেপ্টেম্বরে পর এসএসসি-র তৎকালীন উপদেষ্টার সম্পত্তি বাড়ল কি না তা নজরে রাখতে চায় আদালত। সেই কারণেই হয়তো সম্পত্তির খতিয়ান জানতে চাওয়া হয়েছে। তা ছাড়া শান্তিপ্রসাদ আগে একটি কলেজের অধ্যাপক ছিলেন। তার পর তিনি এসএসসি-র উপদেষ্টা হন।
প্রতীকী চিত্র।
শিক্ষক নিয়োগ মামলায় নয়া মোড়। স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-র প্রাক্তন উপদেষ্টার সম্পত্তির পরিমাণ জানতে চাইল কলকাতা হাই কোর্ট। শুক্রবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, আগামী বৃহস্পতিবার এসএসসি-র প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির খতিয়ান আদালতে পেশ করতে হবে। তাঁর সম্পত্তির বিবরণ জানতে চায় আদালত। আগামী ৩১ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
নবম-দশম শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগ মামলায় একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। ওই নিয়োগে নজরদারির জন্য ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে একটি কমিটি গড়ে এসএসসি। সেই কমিটির উপদেষ্টা ছিলেন শান্তিপ্রসাদ। তাঁর তত্ত্বাবধানে প্রার্থীদের নাম সুপারিশ করা হত মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে। কিন্তু প্যানেলে নাম নেই বা পরীক্ষা দেননি এমন অনেককেই টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। তার ভিত্তিতে করা মামলার শুনানিতে শুক্রবার শান্তিপ্রসাদের যাবতীয় সম্পতি সম্পর্কে জানতে চাইল হাই কোর্ট। এর কারণ হিসেবে এক আইনজীবী জানান, ২০১৯-র সেপ্টেম্বরে পর এসএসসি-র তৎকালীন উপদেষ্টার সম্পত্তি বাড়ল কি না তা নজরে রাখতে চায় আদালত। সেই কারণেই হয়তো সম্পত্তির খতিয়ান জানতে চাওয়া হয়েছে। তা ছাড়া শান্তিপ্রসাদ আগে একটি কলেজের অধ্যাপক ছিলেন। তার পর তিনি এসএসসি-র উপদেষ্টা হন। ফলে তাঁর আয়-ব্যয় সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যাবে।
এর আগে এই মামলায় শান্তিপ্রসাদকে তলব করে জেরা করেছিল আদালত। তাঁর বয়ানে অনেক অসঙ্গতি মেলে। বাকি সাক্ষীরা আদালতে জানান, বিতর্কিত ওই নিয়োগে শান্তিপ্রসাদই সুপারিশ করেছিল।