কয়েক মাস আগে টাকা চাইতে গিয়ে আক্রান্ত হন নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার রায়নার বাসিন্দা সুরজ প্রতাপ। অভিযোগ, গলা কেটে তাঁকে খুনের চেষ্টা করা হয়। এর পর থানায় অভিযোগ জানান সুরজ। কিন্তু তাঁর দাবি, অভিযোগ জানালেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এর পর হাই কোর্টে মামলা করেন তিনি।
উচ্চ আদালতের শুনানিতে সরকারি আইনজীবী জানান, চার্জশিটের বিষয়টি পুলিশই তাঁকে জানিয়েছে। ফাইল ছবি
পুলিশ বলেই যা খুশি করতে পারে না! পুলিশেরও কারাবাস হতে পারে। এক মামলায় ভুল তথ্য দেওয়ায় এ ভাবেই থানার আইসি-কে ভর্ৎসনা করল কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, ভুল তথ্য দেওয়ার কারণে কেন থানার আইসি-র শাস্তি হবে না তা হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে আদালতকে। ১৫ দিনের মধ্যে তিনি জানাবেন কেন তাঁকে দু’মাসের জন্য জেলে পাঠানো হবে না। ৬ মে এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।
কয়েক মাস আগে টাকা চাইতে গিয়ে আক্রান্ত হন নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার রায়নার বাসিন্দা সুরজ প্রতাপ। অভিযোগ, গলা কেটে তাঁকে খুনের চেষ্টা করা হয়। এর পর থানায় অভিযোগ জানান সুরজ। কিন্তু তাঁর দাবি, অভিযোগ জানালেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এর পর হাই কোর্টে মামলা করেন তিনি। ওই মামলার শুনানিতে আদালতে পুলিশ জানায়, গত ৩১ জানুয়ারি এ বিষয়ে চার্জশিট জমা হয়েছে। অথচ মামলকারীর দাবি, কোনও চার্জশিট জমা পড়েনি। পুলিশ মিথ্যা বলছে।
উচ্চ আদালতের শুনানিতে সরকারি আইনজীবী জানান, চার্জশিটের বিষয়টি পুলিশই তাঁকে জানিয়েছে। সেই মতো তিনি সওয়াল করেছেন। এই বক্তব্য শুনে বিচারপতি মান্থার মন্তব্য, ‘‘কেন এ ভাবে আদালতকে ভুল পথে পরিচালনা করছে থানা? তারা কাদের সাহায্য করতে চাইছে? এই ঘটনায় কেন থানার আইসি-র বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত হবে না তা জানতে চাইছে আদালত।’’ শুক্রবার ওই আইসি-কে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।