Calcutta High Court

কাদের স্বার্থে বাড়তি পদ, প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি

মামলাটি করেছেন মীনাক্ষী ঘোষ নামে এক চাকরিপ্রার্থী। তাঁর আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্তের সওয়ালে অতিরিক্ত পদ সংক্রান্ত বিষয়টি ওঠে। তার পরেই এই বিষয়ে প্রশ্ন করেন বিচারপতি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৮:১৫
Share:

কলকাতা হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র।

রাজ্যে অতিরিক্ত শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী পদ (সুপার নিউমেরিক) তৈরি করে কাদের স্বার্থরক্ষার চেষ্টা হচ্ছে, সেই বিষয়ে প্রশ্ন উঠল কলকাতা হাই কোর্টে।

Advertisement

বুধবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলা ছিল। সেই মামলায় বিচারপতি বসু এই অতিরিক্ত পদ তৈরির ব্যাপারে রাজ্য সরকার ও স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-এর বক্তব্য জানতে চেয়েছেন। আগামী সোমবার মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। এ দিন বিচারপতির মন্তব্য, “এই পোস্ট তৈরি হয়েছে চাকরিহারাদের চাকরি দেওয়ার জন্য। ওঁরা প্রতিদিন কুমিরের কান্না কাঁদছেন।”

মামলাটি করেছেন মীনাক্ষী ঘোষ নামে এক চাকরিপ্রার্থী। তাঁর আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্তের সওয়ালে অতিরিক্ত পদ সংক্রান্ত বিষয়টি ওঠে। তার পরেই এই বিষয়ে প্রশ্ন করেন বিচারপতি। সওয়াল-জবাব পর্বে এসএসসি-র কৌঁসুলি সুতনু পাত্র জানান, চাকরিহারাদের চাকরি রেখে যাতে যোগ্যদের নিয়োগ করা যায়, তাই এই পদ। রাজ্য সরকারের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত জানান, ওই ব্যক্তিরা ওয়েটিং লিস্টে আছেন। তাঁদের চাকরি দিতেই এই পদক্ষেপ।

Advertisement

প্রসঙ্গত, এই বিষয়টি প্রথম উঠেছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। তিনি তখন এসএসসি-র মাধ্যমে নিয়োগের মামলা শুনছিলেন। বিষয়টি শোনার পরেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন করেছিলেন, কে এই পদ তৈরির সিদ্ধান্ত নিলেন? কী ভাবে নিলেন? বিষয়টি নিয়ে সিবিআইকে তদন্ত করতে বলেছিলেন তিনি। সেই তদন্ত ঠেকাতে রাজ্য সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত যায়। আপাতত বিষয়টি সেখানেই বিচারাধীন বলে খবর।

এই পদ তৈরির পরিপ্রেক্ষিতে এ দিন বিচারপতি বসু আরও কয়েকটি প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, “চাকরি হলে শিক্ষকের প্রকৃত ভূমিকা পালন করবেন তো তাঁরা? ছাত্রছাত্রীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমি শিক্ষকদের জন্য চিন্তিত নই। কারণ, তাঁরা চাকরি পাওয়ার জন্য ঝুলোঝুলি করবেন। তার পর বলবেন, ‘আমাকে বাড়ির কাছে বদলি দাও’, আজ উৎসশ্রী, কাল শুভশ্রী বলে আবেদন করবেন। আসল কাজ করবেন না, পড়াবেন না।” এ দিন মামলার শুনানির মাঝেই রাজ্যের সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থার বেহাল দশা নিয়েও এবং পড়ুয়া সংখ্যা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি।

কলকাতা হাই কোর্টে বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চে সম্প্রতি এসএসসি মামলার শুনানি ছিল। সেই সময় বিচারপতি বসাক বলেছিলেন, “কে কত দিন চাকরি করছেন সেটা বড় কথা নয়। মূল বিচার্য বিষয়, নিয়োগ বৈধ কি না?”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement