পকসো আইনে অভিযুক্ত যুবককে বেকসুর খালাস করল কলকাতা হাই কোর্ট। —ফাইল ছবি।
পকসো আইনে অভিযুক্ত যুবককে বেকসুর খালাস করল কলকাতা হাই কোর্ট। উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ, পকসো আইনে মামলা হওয়ার কারণে অভিযোগ অতিরঞ্জিত করা হয়েছে। অভিযুক্তের দোষ প্রমাণিত হয়নি। নাবালিকার বয়ানের সঙ্গে তার বাবা-মায়ের বয়ানের মিল নেই। এর পরেই বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের একক বেঞ্চ নিম্ন আদালতের নির্দেশ খারিজ করে দেয়। উচ্চ আদালত জানায়, অভিযুক্ত যুবককের দোষ প্রমাণিত হয়নি। নাবালিকার পরিবারও তদন্তে সঠিক ভাবে সাহায্য করেননি।
২০১৬ সালে হুগলিতে টিউশন যাওয়ার পথে এক নাবালিকাকে শ্লীলতাহানি এবং যৌন নিগ্রহের অভিযোগে মামলা দায়ের হয় এক যুবকের বিরুদ্ধে। নাবালিকার পরিবার দাবি করে, টিউশন থেকে ফেরার পথে সাইকেল থেকে নামিয়ে শ্লীলতাহানি করে ওই যুবক। পরিবারের দাবি মতো পকসো আইনে মামলা শুরু করে পুলিশ। নাবালিকাকে শ্লীলতাহানির দায়ে গত বছর নিম্ন আদালত অভিযুক্তকে তিন বছরের কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা শাস্তির নিদান দেয়। নিম্ন আদালতের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে যান যুবক। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অসত্য বলে দাবি করেন তিনি।
এই মামলার শুনানিতে হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ করা হয়েছে অনেকাংশে তা সঠিক নয়। নির্যাতিতার সঙ্গে তার বাবা-মায়ের বয়ানে অনেক অসঙ্গতি রয়েছে। বিচারপতি ঘোষের আরও পর্যবেক্ষণ, নাবালিকার পরিবার শুধু অভিযোগই তুলেছে। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণে সাহায্য করেননি। এমনকি ঘটনার পরে নাবালিকার স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য তাঁরা কোনও সম্মতি দেয়নি। সোমবার আদালত অভিযুক্ত যুবককে নির্দোষ বলে জানায়।