বাজেট অধিবেশন শুরুর আগেই সর্বদলীয় বৈঠকে বিজেপি বিধায়করা যাবেন না বলে জানিয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। ফাইল চিত্র
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বাজেট অধিবেশন আহ্বান করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তাই সোমবার ৭ মার্চ দুপুর ২টোয় রাজ্যপালের ভাষণ দিয়ে শুরু হতে চলেছে বাজেট অধিবেশন। এ বারের বাজেট অধিবেশনেও সরকারপক্ষের সঙ্গে অসহযোগিতার পথে হাঁটতে পারে বিজেপি পরিষদীয় দল। সোমবার অধিবেশন শুরুর আগে সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দিয়েছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে বিধানসভার কার্যবিবরণী ঠিক করতে ‘বিজনেস অ্যাডভাইসারি কমিটি’র (বিএ) বৈঠক হবে। সেই দু’টি বৈঠক বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি পরিষদীয় দল।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, ‘‘মুকুল রায়কে জোর করে ‘পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি’-র (পিএসি) চেয়ারম্যান পদে রেখে দেওয়া হয়েছে। আমরা প্রথমবারের সর্বদল এবং বিএ কমিটির বৈঠকে গিয়েছিলাম। কিন্তু, বিধানসভা কর্তৃপক্ষ এখনও পিএসি-র চেয়ারম্যান পদে মুকুলকে রেখে দিয়েছেন। তাই আমরা তৃণমূলের সঙ্গে এক টেবিলে বসে চা খেতে চাই না।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘যতদিন মুকুল ওই পদে থাকবেন, ততদিন আমরা বিধানসভার কার্যবিবরণী সংক্রান্ত বৈঠকে যাব না।’’
শুভেন্দুর এমন ঘোষণা বাজেট অধিবেশনে বিজেপি পরিষদীয় দলের কড়া অবস্থানের দিকেই ইঙ্গিত করছে বলে মনে করছেন বাংলার রাজনীতির কারবারিরা। কারণ গত বছর বিধানসভা ভোটের পর যে বাজেট অধিবেশন বসেছিল, তাতেও বক্তৃতা দিয়ে বাজেট অধিবেশনের সূচনা করতে এসেছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে বিরোধী বিধায়করা চিৎকার চেঁচামেচি করায়, দু’মিনিটের বেশি বাজেট ভাষণ পড়তে পারেননি ধনখড়। আর এ বারের পুরভোটেও শাসকদলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ করে এসেছে বিজেপি। তাই রাজনীতির কারবারিরা মনে করছেন, এ বারেও রাজ্যপালের বক্তৃতার সময় পুরভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগ এনে বিক্ষোভ দেখাতে পারেন বিজেপি বিধায়করা। তবে এ বিষয়ে নিজেদের রণনীতি এখনই প্রকাশ করতে নারাজ বিজেপি পরিষদীয় দল। এক বিজেপি বিধায়কের কথায়, ‘‘বিরোধী দলনেতা যখন আমাদের অবস্থান ঘোষণা করবেন তখনই সবাই এ বিষয়ে জানতে পারবেন।’’