অমিত শাহের ভার্চুয়াল জনসভায় মেদিনীপুর শহরে বিজেপির জেলা কার্যালয়ে লাগানো হয়েছিল টিভি। ফাইল চিত্র
করোনা মোকাবিলায় খোলা মাঠে জনসভা বা সমাবেশের কর্মসূচি বন্ধ। এই অবস্থায় দলের সাংগঠনিক প্রচার কর্মসূচি পালনে আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নিচ্ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। সেই পথে গত ৯ জুন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা অমিত শাহের ভার্চুয়াল জনসভা দলীয় প্রচারের ক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই সাড়া ফেলেছে।
সে দিন রাজ্যের সমস্ত জেলা সহ বুথ স্তরের দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে অনলাইন পদ্ধতিতে সভা করেন অমিত শাহ এবং বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। অমিতের দেখানো পথেই এ বার জেলায় বিধানসভা ভিত্তিক ‘ভার্চুয়াল র্যালি’ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিজেপি নেতৃত্ব। তবে তার আগে দলের জেলা নেতৃত্ব বিভিন্ন মণ্ডল কমিটির নেতাদের নিয়ে নিয়মিত ভার্চুয়াল বৈঠক করছেন। দলীয় সূত্রে খবর, গত ১ জুন থেকে লকডাউন কিছুটা শিথিল হলেও লোকজনের জমায়েতে এখনও নিষেধ রয়েছে। তাই দলের সাংগঠনিক ও প্রচার কর্মসূচিতে আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।
কেন্দ্রে দ্বিতীয় দফায় বিজেপি সরকারের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সরকারের সাফল্য এবং রাজ্যে তৃণমূল সরকারের ব্যর্থতা তুলে ধরতে বাড়ি বাড়ি প্রচারের জন্য মঙ্গলবার থেকে ফের ‘গৃহ সম্পর্ক’ অভিযান কর্মসূচি শুরু করেছে বিজেপি। ২৫ জুন পর্যন্ত ১০ দিন ধরে ওই কর্মসূচি চলবে। তবে করোনা সতর্কতায় অল্প সংখ্যক দলীয় কর্মী বাসিন্দাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ওই কর্মসূচী পালন করছেন। বিজেপি সূত্রে খবর, বাড়ি বাড়ি প্রচারের পাশাপাশি সাংগঠনিক কাজকর্ম পর্যালোচনার জন্য জেলা নেতৃত্ব ব্লক নেতাদের নিয়ে নিয়মিত বৈঠক করছেন।
অমিত শাহের সভার পরে গত এক সপ্তাহে প্রায় প্রতিদিন দলের বিভিন্ন শাখা সংগঠনের নেতাদের নিয়ে অনলাইন পদ্ধতিতে বৈঠক করেছেন বিজেপি তমলুক ও কাঁথি সাংগঠনিক জেলা নেতৃত্ব। মোবাইল ফোন ব্যবহার করে নির্দিষ্ট কয়েকটি ‘অ্যাপ’-এর মাধ্যমে এই ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য ব্লক ও জেলা নেতাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন দলের তথ্য প্রযুক্তি শাখার কর্মীরা। দলীয় সূত্রে খবর, বিধানসভা ভোটের দিকে লক্ষ্য রেখে দলের সংগঠন ও জনসমর্থন বাড়াতে নানা কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। কিছুদিনের মধ্যে প্রতিটি বিধানসভা এলাকায় জনসভা করা হবে। যার পোশাকি নাম ‘ভার্চুয়াল র্যালি’।
বিজেপির জেলা (তমলুক) সভাপতি নবারুণ নায়েক বলেন, ‘‘অমিত শাহের ভার্চুয়াল সভা নিয়ে মানুষের মধ্যে বিপুল উৎসাহ দেখা গিয়েছে।সে জন্য এই পদ্ধতিতে বিধানসভা ভিত্তিক জনসভার জন্য জেলায় প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।’’