‘বঙ্গ সংস্কৃতি উৎসব’
সমাজসেবী সংগঠন ‘পাশে আছি’-র উদ্যোগে হুগলি জেলার হাজীগরের, চেরাগ্রামে ১৪ এবং ১৫ অগস্ট, দু'দিন ধরে অনুষ্ঠিত হল বাংলার সব থেকে বড় স্বাধীনতার উদযাপন ‘বঙ্গ সংস্কৃতি উৎসব’। সহযোগিতায় ছিল ‘পায়েল সরকার অর্গানাইজেশন’। গত ১৪ই অগস্ট, বুধবার রক্তদান শিবির এবং বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবিরের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। সে দিনই বিকেলে ছিল ক্যুইজ় এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
দ্বিতীয় দিন, অর্থাৎ ১৫ই অগস্ট জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে শুভারম্ভ হয়। তার পরে ছিল এক বিরাট বসে আঁকো প্রতিযোগিতার আয়োজন, যেখানে বিভিন্ন জেলা থেকে প্রায় ২০০ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে। বিকেল ৩টে থেকে অনুষ্ঠিত হয় চক্ষুদান, সর্প বিষয়ক সচেতনতা শিবির এবং ম্যাজিক প্রদর্শন। বিকেল সাড়ে ৪টেয় শুরু হয় বাংলার নানা প্রান্তের প্রতিভাবান ব্যক্তিদের স্বীকৃতি জানানোর ‘বঙ্গ রত্ন অনন্য সম্মান’।
বিশেষ ভাবে সক্ষম হয়েও এক জন চিত্র শিল্পী হয়ে ওঠার গল্প শোনাতে উপস্থিত ছিলেন রিমা বন্দোপাধ্যায়। পেশায় রাজমিস্ত্রি হয়েও কী ভাবে ১ টাকার পাঠশালা চালিয়ে চলেছেন, সেই গল্প শোনান পুলক মণ্ডল। ছিলেন পেশায় সেনাকর্মী, নেশায় সমাজসেবী শক্তি পাল, সিআইডি অফিসার সংযুক্তা আচার্য, আবু আফজাল জিন্না-সহ আরও অনেকে।
‘বঙ্গ সংস্কৃতি উৎসব’-এ বিশেষ অতিথি রূপে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট অভিনেত্রী পায়েল সরকার, ধনিয়াখালীর বিধায়ক অসীমা পাত্র, রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কোহিনূর মজুমদার, আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন বাচিক শিল্পী সর্বাণী চট্টোপাধ্যায়, অভিনেতা জয়, অভিনেতা সাহবীর খান, মডেল এবং কোরিওগ্রাফার অনিকেত রায়, ফ্যাশন ডিজাইনার অনির্বাণ মজুমদার, কনটেন্ট রাইটার সহেল সাহা, ম্যাজিসিয়ান বি. সুপ্রিয়-সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব।
‘পাশে আছি’র সম্পাদক সাহিল মল্লিক বলেন, "আমাদের সংগঠন সর্বদাই মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করে সারা বছর ধরে। শীতকালীন বস্ত্র বিতরণ, ঈদ এবং পুজোর সময়ে শতাধিক দরিদ্র মানুষদের পোশাক উপহার, শিক্ষা সামগ্রী দিয়ে পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়ানো থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও প্রদান করে থাকে এই সংগঠন। প্রতি বছর স্বাধীনতা দিবসকে কেন্দ্র করে এক উৎসবের পরিবেশ তৈরি হয় এলাকায়। চলে বেশ কিছু সেবামূলক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং গ্রামীণ মেলা। অনুষ্ঠানের ভিড় দেখে বোঝা যায় অনুষ্ঠানের জনপ্রিয়তা। আমরা চাই আমাদের এই বৃহৎ কর্মসূচিতে আরও মানুষ নিয়োজিত হোক এবং মানব সেবায় নিজেকে যুক্ত করুক।”
ধনিয়াখালীর বিধায়ক অসীমা পাত্র এ দিনের অনুষ্ঠানে বলেন, “এই সংগঠন 'পাশে আছি' যে ভাবে এলাকায় গত ৪ বছর ধরে কাজ করে চলেছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। বাংলার আর কোথাও স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এ রকম ২ দিনব্যাপী অনুষ্ঠান হয় কি না জানা নেই। বাংলায় ‘পাশে আছি’ই প্রথম। তাই সংগঠনের সকল সদস্যকে জানাই কুর্নিশ।" বিধায়ক ‘পাশে আছি’র পাশে থাকার আশ্বাসও দেন।
অভিনেত্রী পায়েল সরকার তাঁর বক্তব্যে ‘পাশে আছি’র প্রশংসা করেন এবং তার পাশে সর্বদাই থাকার কথাও বলেন। পাশাপাশি তিনি আর জি কর হাসপাতালের ঘটনার প্রতিবাদও জানান কড়া ভাষায়।
অনুষ্ঠানের ডিজিটাল মিডিয়া পার্টনার আনন্দবাজার অনলাইন।