পার্থ চট্টোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদন পিছিয়ে গেল কলকাতা হাই কোর্টে। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে বুধবার সকালে শুনানির কথা ছিল ইডি বনাম পার্থের এই মামলাটির। মামলাটি যথাসময়ে শুনানির জন্যও ওঠে। কিন্তু শুনানি শুরু হতে না হতেই পিছিয়ে দেওয়া হয় মামলার তারিখ। আদালত জানিয়ে দেয়, বুধবার নয়, এক মাস পর আগামী ৯ অক্টোবর প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর জামিনের আবেদন শুনবে হাই কোর্ট।
অক্টোবরে দুর্গাপুজো বাংলায়। ১৯ অক্টোবর পঞ্চমী। ১৪ অক্টোবর দেবীপক্ষের শুরু। তার পাঁচ দিন আগেই শুনানি হবে পার্থের জামিনের মামলার। গত বছরের পুজো জেলেই কেটেছে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর। ফলে প্রশ্ন উঠেছে, আরও একটি পুজো কি জেলেই কাটতে চলেছে তাঁর? নাকি পুজোর মুখে মিলতে পারে সুখবর!
রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থকে ২০২২ সালের জুলাই মাসে গ্রেফতার করেছিল ইডি। ২৩ জুলাই রাতে গ্রেফতার হওয়ার ১৩ মাস পর জামিন চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন পার্থ। কিন্তু ইডি সেই জামিনের আর্জির বিরোধিতা করে পাল্টা আবেদন করে হাই কোর্টে। বুধবার সেই মামলারই শুনানি ছিল বিচারপতি ঘোষের এজলাসে। মামলাটি শুনানির জন্য ওঠার পরেই ইডি শুনানির তারিখ পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন করে বিচারপতির কাছে। আদালত সেই আবেদনে সাড়াও দেয়। বিচারপতি জানিয়ে দেন আগামী ৯ অক্টোবর শুনানি হবে পার্থের জামিনের মামলার।
আপাতত প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি পার্থ। নিম্ন আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে ইডি এবং সিবিআইয়ের আনা অভিযোগের শুনানিও চলছে। ইতিমধ্যে সেখানেও বহুবার জামিনের আবেদন করেছেন পার্থ। সম্প্রতি দিল্লি থেকে পার্থের হয়ে সওয়াল করতে এসেছিলেন ইডিরই এক প্রাক্তন আইনজীবী। পার্থের দাবি ছিল, তাঁর বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। দুর্নীতির সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্কও নেই। তাই তাঁকে জামিন দেওয়া হোক। হাই কোর্টেও এই একই আর্জি নিয়ে মামলা করেছেন পার্থ।
সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার রাজ্যের বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্যকে জামিন দিয়েছে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চ। নিয়োগ মামলায় সেটিই ছিল প্রথম জামিন। তার পর থেকেই নিয়োগ মামলায় অভিযুক্তেরা জামিনের ব্যাপারে আশান্বিত। বিচারপতি ঘোষের এজলাসে দায়েরও হয়েছে অনেকগুলি মামলা। মঙ্গলবার নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় জামিন চেয়ে মানিকের পুত্র সৌভিক ভট্টাচার্যও বিচারপতি ঘোষের এজলাসে মামলা করেছিলেন। সেই জামিন মামলাটিরও শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী সোমবার মামলাটির শুনানি হবে বলে জানিয়েছে হাই কোর্ট।