প্রাণীসম্পদ বিকাশ নিগমের উদ্যোগে কর্মসংস্থান তৈরির সুযোগ। ফাইল চিত্র।
প্রাণীসম্পদ বিকাশ নিগমের উদ্যোগ হতে পারে কর্মসংস্থান। এ বার উত্তর ও দক্ষিণ বঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় উন্নতমানের বৃহৎ পোল্ট্রি ফার্ম ও পশুখাদ্য উৎপাদন ইউনিট তৈরি করতে চলেছে রাজ্য প্রাণীসম্পদ উন্নয়ন নিগম। এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ছয় হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। রাজ্যকে ডিম উৎপাদনে স্বনির্ভর করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশ পাওয়ার পরেই এ বিষয়ে উদ্যোগী হয় প্রাণীসম্পদ বিকাশ দফতর। সেই লক্ষ্যেই এ বার রাজ্যে একযোগে নতুন চারটি উন্নত মানের বৃহৎ পোল্ট্রি ফার্ম তৈরি হচ্ছে। একটি কল্যাণীর রথতলায়, বাকি তিনটি তৈরি হচ্ছে হরিণঘাটা, মালদহ ও মেখলিগঞ্জে। এই ফার্মগুলির পাশাপাশি তৈরি হচ্ছে দু’টি নতুন পশুখাদ্য উৎপাদন ইউনিটও। আর গড়ে তোলা হচ্ছে বর্জ্য পরিশোধন ব্যবস্থা।
প্রতিটি পোল্ট্রি ফার্মে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে প্রায় এক হাজার কর্মসংস্থান হবে। একই ভাবে প্রতিটি পশুখাদ্য উৎপাদন ইউনিটে সরাসরি ৬৫ জনের এবং পরোক্ষ ভাবে ৭০০ জনের কর্মসংস্থান হতে চলেছে। প্রকল্পগুলি চালু হলে আগামী বছরের শেষে নিগমের অধীন পোল্ট্রি থেকে প্রতি বছর প্রায় ৪৭ কোটি ডিম পাওয়া হবে। প্রাণীসম্পদ বিকাশ দফতরের এক কর্তা জানিয়েছেন, বর্তমানে বছরে প্রায় ৭০ কোটি ডিম আমদানি করতে হয় রাজ্যকে। এমতাবস্থায় নিগমের কল্যাণীর পোল্ট্রি ফার্মে ডিমের উৎপাদন বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। গত বছর যেখানে রোজ এক লক্ষ ডিম উৎপাদন হত, সেখানে চলতি বছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লক্ষ। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেওয়ার দেওয়ার পর এ বিষয়ে আরও উদ্যোগী হয়েছে দফতর। তাতে যেমন ডিম উৎপাদন বা়ড়বে, তেমনই কর্মসংস্থানও হবে।
নিগম সূত্রে জানা গিয়েছে, কল্যাণী, দুর্গাপুর, শালবনি, গাজোল ও শিলিগুড়িতে এখন পাঁচটি পশুখাদ্য উৎপাদন ইউনিট চালু রয়েছে। এইগুলিতে সরাসরি প্রায় ৩০০ জন এবং পরোক্ষ ভাবে ৩৫০০ জন নিযুক্ত রয়েছেন। নিগমের হরিণঘাটা মিট প্লান্টে সরাসরি নিযুক্ত রয়েছেন ১৮০ জন, আর পরোক্ষ ভাবে আছেন প্রায় ৭০০ জন। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে হরিণঘাটা মিটের প্রায় ৭০০ বিপণী রয়েছে। সেগুলিতে কর্মরত রয়েছেন প্রায় ১৪০০ যুবক-যুবতী। নতুন করে উৎপাদন ইউনিট তৈরি হলে উৎপাদন ও কর্মসংস্থান পাল্লা দিয়ে বাড়বে।