প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বক্তৃতা ঘিরে সাজ সাজ রব মতুয়াদের মেলায়। ফাইল চিত্র।
মতুয়া সমাজের মন পেতে উদ্যোগী খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাই ২৯ মার্চ হরিচাঁদ ঠাকুরের আবির্ভাব তিথি উপলক্ষে ঠাকুরনগরের বারুণীর পুণ্যস্নান দিয়ে যে মেলা শুরু হবে, সেখানে ভার্চুয়াল বক্তৃতা দেবেন তিনি। রবিবার এমনটাই জানিয়েছেন মতুয়া মহাসঙ্ঘের মহাসঙ্ঘাধিপতি সুব্রত ঠাকুর। মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি তথা বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর প্রধানমন্ত্রীর ক্যাবিনেটে রয়েছেন। সেই সুবাদেই তিনি মেলায় প্রধানমন্ত্রীকে ভার্চুয়াল বার্তা দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলেন। তাঁর ডাকে সাড়া দিয়েই সোমবার বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ মতুয়া সমাজের মেলায় ভারচুয়াল মাধ্যমে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী। শনিবার মেলা উপলক্ষে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মতুয়াদের এই মেলায় প্রধানমন্ত্রী যে ভাবে এ বার গুরুত্ব দিচ্ছেন, তেমন আগে দেখা যায়নি।
গাইঘাটার বিজেপি বিধায়ক সুব্রত বলেন, “ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী তাঁর শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন। পিএমও থেকে এ-ও জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ২৯ তারিখ বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ ধর্মমেলায় আগত মতুয়াদের উদ্দেশে বক্তৃতা করবেন। এটা মাতুয়া সমাজকে ঠাকুরের জন্মদিনে উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে। আগে কখনও দেশের প্রধানমন্ত্রী এ ভাবে মতুয়াদের মেলায় অংশগ্রহণ করেননি। এটা মতুয়া সমাজের কাছে বড় পাওনা।” রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে মতুয়া সমাজকে নিজেদের পাশে ধরে রাখতেই প্রধানমন্ত্রী এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন। কারণ, পশ্চিমবঙ্গের গত কয়েকটি নির্বাচনে মতুয়া সমাজ বার বার পাশে থেকেছে কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপি-র। তাই মন্ত্রিসভায় তাঁর সতীর্থ শান্তনুর দাবি এক কথায় মেনে নিয়েছেন মোদী।
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচির প্রস্তুতি নিতে ঠাকুরবা়ড়িতে এখন সাজ সাজ রব। প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা উপলক্ষে ঠাকুরবাড়ির এলাকা জুড়ে ছয়টি সুবিশাল স্ক্রিন লাগানো হচ্ছে। বনগাঁ লোকসভা এলাকায় মোট ২০টি জায়েন্ট স্ক্রিন লাগানো হবে। এ ছাড়াও পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মতুয়া প্রতিনিধিদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতার সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থা করেছেন মহাসঙ্ঘ কর্তৃপক্ষ। নেটমাধ্যমের বিভিন্ন মঞ্চে মতুয়া মহাসঙ্ঘ প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা সম্প্রচার করে ভিন দেশে থাকা মতুয়াদের কাছে পৌঁছে দিতে চাইছে।