চলতি মাসের ২২ তারিখ থেকে শুরু হতে চলেছে বিধানসভার অধিবেশন। —ফাইল চিত্র।
সব কিছু ঠিকঠাক চললে চলতি মাসের ২২ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে বিধানসভার অধিবেশন। ২১ জুলাই রবিবার শাসকদল তৃণমূলের শহিদ দিবসের সমাবেশ হবে কলকাতায়। সেই সমাবেশের পরের দিন থেকেই পুরোদমে শুরু হয়ে যাবে অধিবেশন। যদিও প্রথম দিন শোকপ্রস্তাব পাঠ করে অধিবেশন মুলতুবি করে দেবেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরদিন থেকে শুরু হবে পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন। এই অধিবেশন কত দিন চলবে, তা নিয়ে স্পষ্ট কোনও মন্তব্য করতে পারেনি পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘‘বিধানসভার অধিবেশন চলে মূলত কার্যবিবরণীর উপর ভিত্তি করে। কার্যবিবরণী কমিটি বৈঠক করে ঠিক করে অধিবেশনে কোন প্রস্তাব বা কোন বিল নিয়ে আলোচনা হবে। তাই অধিবেশন শুরু হলে কার্যবিবরণী বৈঠকে করে অধিবেশন কত দিন চলবে তা ঠিক করা হবে।’’ নবান্ন সূত্রে খবর, ২২ তারিখ থেকে অধিবেশন শুরু করতে পরিষদীয় দফতর এবং বিধানসভা সচিবালয়ের মধ্যে যাবতীয় কাজকর্ম সম্পন্ন হয়ে যাবে আগামী সপ্তাহে।
শনিবার রাজ্যের চারটি বিধানসভা উপনির্বাচনের ফল প্রকাশিত হয়। মানিকতলায় সুপ্তি পাণ্ডে, বাগদায় মধুপর্ণা ঠাকুর, রানাঘাট দক্ষিণে মুকুটমণি অধিকারী এবং রায়গঞ্জে কৃষ্ণ কল্যাণী জয়ী হয়েছেন। শাসকদলের লক্ষ্য, যত দ্রুত সম্ভব এই বিধায়ককে শপথগ্রহণ করিয়ে বিধানসভার অধিবেশনে যোগদান করানো। অন্য দিকে, ২১ জুলাইয়ের শহিদ দিবসের সমাবেশের জন্যও তৃণমূলের অন্দরে ব্যস্ততা তুঙ্গে। তাই বিধানসভা অধিবেশন শুরু নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ দ্রুত সম্পন্ন করতে চাইছে বিধানসভা সচিবালয় এবং নবান্ন। তৃণমূল পরিষদীয় দল সূত্রে খবর, লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির বিপর্যয়ের পর অধিবেশনে পদ্মের বিধায়কদের চেপে ধরতে চাইছে শাসকদল। তাই এই অধিবেশনে দেশের নতুন ফৌজদারি আইনের বিরুদ্ধে প্রস্তাব আনতে পারে তৃণমূল।
অন্য দিকে, ২২ জুলাই, অর্থাৎ যে দিন বিধানসভার অধিবেশন শুরু হচ্ছে, সে দিন আবার বিজেপির তরফে কলকাতায় কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কলকাতার ভিক্টোরিয়া হাউসের সিইএসসি অফিস ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন তিনি। বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘যে ভাবে বিদ্যুতের দাম বাড়ছে, তার বিরুদ্ধে বিরোধী দলনেতা হিসাবে, সাধারণ মানুষের প্রতিনিধি হয়ে সিইএসসি অফিস অভিযান করব।’’