Krishak Bandhu

কৃষক বন্ধু প্রকল্পে বাতিল হয়ে যাওয়া আবেদনগুলি ফের যাচাই করবে কৃষি দফতর

আবেদন বাতিল হওয়ার নির্দিষ্ট কারণ চিহ্নিত করে, কেউ যাতে কৃষক বন্ধু প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হন, সেই বিষয়টি সুনিশ্চিত করবে কৃষি দফতর।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ মে ২০২৩ ১৪:৪৭
Share:

সম্প্রতি দুয়ারে সরকারের মাধ্যমে কৃষক বন্ধু প্রকল্পের সুবিধা পেতে লক্ষাধিক আবেদন জমা পড়েছিল। — ফাইল চিত্র।

কৃষক বন্ধু প্রকল্পে আবেদন করেও তা বাতিল হয়ে গিয়েছিল। এ বার সেই সব বাতিল হয়ে যাওয়া আবেদন ফের খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। বাতিল হওয়া প্রত্যেক আবেদনকারী কৃষকের বাড়ি যাবেন কৃষি দফতরের প্রতিনিধিরা। আবেদন বাতিল হওয়ার নির্দিষ্ট কারণ চিহ্নিত করে, কেউ যাতে কৃষক বন্ধু প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হন, সেই বিষয়টি সুনিশ্চিত করবে কৃষি দফতর।

Advertisement

সম্প্রতি এই সংক্রান্ত বিষয়ে একটি বৈঠক করেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিটি জেলার কৃষি আধিকারিকরা। যেখানে মন্ত্রী বাড়ি বাড়ি গিয়ে আবেদন বাতিল হওয়ার কারণ অনুসন্ধান করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। ওই বৈঠকেই মন্ত্রী নির্দেশ দেন, নথি বা তথ্যে সামান্য কোনও ত্রুটি থাকলে তা যেন কৃষি দফতরের আধিকারিকরা খতিয়ে দেখে সংশোধন করে প্রার্থীদের কৃষক বন্ধু প্রকল্পের অর্থ পাওয়ার ব্যবস্থা করেন।

কৃষি দফতর সূত্রে খবর, অনেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে যে প্রয়োজনীয় নথির অভাবে বাতিল হয়েছে আবেদনপত্র। এই সমস্ত ক্ষেত্রে নিয়ম মেনে প্রান্তিক কৃষকদের সেই সমস্ত নথি পেতেও সাহায্য করার কথা বলা হয়েছে। আর যাঁরা এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে একেবারেই অনুপযুক্ত, তাঁদের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কারণ ব্যাখ্যা করে রিপোর্ট জমা দিতে হবে বলা হয়েছে। কৃষক দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘আমরা চাই, যাতে এক জন কৃষকও তাঁদের ন্যায্য প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত না থাকেন। সেই কারণেই পুনর্যাচাই করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’

Advertisement

সম্প্রতি দুয়ারে সরকারের মাধ্যমে কৃষক বন্ধু প্রকল্পের সুবিধা পেতে লক্ষাধিক আবেদন জমা পড়েছিল। যা যাচাই করে নতুন করে দেড় লক্ষ কৃষককে যুক্ত করা হয়েছে। এবং আগে থেকে তালিকায় থাকা উপভোক্তাদের মিলিয়ে মোট ৯৪ লক্ষ কৃষককে এই প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। তবে এর মধ্যেও নানা কারণে বাতিল হয়েছে, এমন কয়েক হাজার কৃষকের আবেদনের কথা জেনেছে নবান্ন। তার পরেই এই বিষয়ে পদক্ষেপ করা হয়েছে। তবে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটের কথা মাথায় রেখেই সব কৃষকদের কাছে নগদ অর্থ পৌঁছে দিয়ে আসলে ভোট কিনতে চাইছে রাজ্য সরকার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement