যাতায়াত-হাজিরা মিলিয়ে ১৫-২০ ঘণ্টা। অথচ খাবারের জন্য বরাদ্দ মাত্র ৫০ টাকা। তা বাড়ানোর দাবিতে অনশন শুরু করেছেন বন্দি মাওবাদী নেত্রী ঠাকুরমণি মুর্মু ওরফে তারা।
দমদম সেন্ট্রাল জেলে আছেন তারা। হাজিরা দিতে মঙ্গলবার জেল থেকে তাঁকে ঝাড়গ্রাম নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তখনই তিনি অভিযোগ করেন, যে-দিন তাঁর ঝাড়গ্রামে হাজিরা থাকে, সে-দিন তাঁকে আধপেটা খেয়ে থাকতে হয়। কারণ, খাওয়ার জন্য দেওয়া হয় মাত্র ৫০ টাকা। সেই বরাদ্দ বাড়ানোর দাবিতে গত শুক্রবার থেকে অনশন চালাচ্ছেন একদা শালবনি স্কোয়াডের ওই মাওবাদী নেত্রী। তারার ঘনিষ্ঠদের দাবি, তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। কারা দফতর সূত্রের খবর, স্যালাইন চলছে। তারার রক্তচাপ, হৃৎস্পন্দন স্বাভাবিক আছে।
কারা দফতরের বক্তব্য, বন্দিরা দূরে গেলে সকালেই তাঁদের বিশেষ ভাবে খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। কিছু বন্দি বিশেষ সুবিধা পান। তাঁরা দূরে গেলে খাওয়ার জন্য ৫০ টাকা দেওয়া হয়। তবে প্রশাসনের একাংশের মতে, দূরে গেলে শুধু জেল থেকে খাইয়ে পাঠালে সকলের পক্ষে সারা দিন সেই অবস্থায় কাটানো সম্ভব হয় না। এপিডিআরের প্রতিনিধি রঞ্জিত শূর বলেন, ‘‘জেল সুপারের সঙ্গে কথা বলেছি। তারার দাবি মেনে নিতে অনুরোধ করেছি। কিন্তু সুপার জানান, তাঁর কিছুই করার নেই।’’