হাই কোর্ট দুপুর ২টোয় শুনতে পারে পর্ষদের আবেদন। ফাইল চিত্র।
টেট চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনে কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছে জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। হাই কোর্ট তাদের জানিয়ে দিল, সময় হলে তারা মামলাটি শুনবে।
সল্টলেকে পর্ষদের এপিসি ভবনের সামনে গত সোমবার থেকে আমরণ অনশন শুরু করেছেন ২০১৪ সালের টেট চাকরিপ্রার্থীরা। বৃহস্পতিবার সেই আন্দোলন চতুর্থ দিনে পড়ল। চাকরিপ্রার্থীদের এই বিক্ষোভ, অনশন নিয়েই কলকাতা হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। বৃহস্পতিবার তারা বিষয়টির দ্রুত শুনানিরও আর্জি জানায়। কিন্তু হাই কোর্টের বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, সময় বাঁচলে দুপুর ২টো নাগাদ এই মামলার শুনানি হতে পারে।
প্রসঙ্গত, এই নিয়ে দ্বিতীয় বার আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হল পর্ষদ। এর আগেও বুধবার হাই কোর্টে মামলাটির দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়েছিল পর্ষদ। তার জবাবে আদালত পাল্টা প্রশ্ন করেছিল, ‘‘দ্রুত শুনানির কী প্রয়োজন?’’
বৃহস্পতিবারও আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ জানিয়ে পর্ষদের আইনজীবী বলেন, পর্ষদের সামনে লাগাতার বিক্ষোভের জেরে অফিস প্রায় বন্ধ হতে বসেছে। প্রতি দিনের স্বাভাবিক কাজ করা যাচ্ছে না। তাই মামলাটির দ্রুত শুনানি হোক। কিন্তু এ বারও দ্রুত শুনানির কোনও আশ্বাস হাই কোর্ট দেয়নি। বরং জানিয়ে দিয়েছে অন্য মামলা সামলে সময় বাঁচলে তারা এই মামলাটি শুনতে পারে।
বৃহস্পতিবার পর্ষদ ছাড়াও এই একই আবেদন করেছিলেন পর্ষদের অন্য একটি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী। এপিসি ভবনে তাঁদের চাকরির ইন্টারভিউ রয়েছে। আদালতকে তাঁরা জানিয়েছিলেন, টেট বিক্ষোভের জেরে তাঁরা ভিতরে ঢুকতে পারছেন না। আদালত অবশ্য দু’টি আবেদন প্রসঙ্গেই একই কথা জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের টেট প্রার্থীদের আন্দোলন শুরুর পর তিন রাত কেটে গিয়েছে। সল্টলেকের এপিসি ভবনের সামনে অনশনররত চাকরিপ্রার্থীরা এখনও তাঁদের দাবিতে অনড়। অন্য দিকে পর্ষদও জানিয়ে দিয়েছে, আন্দোলন চলছে বলেই তারা হঠাৎ নিয়োগ করতে পারবে না। কারণ, আইন পরিবর্তন করার ক্ষমতা পর্ষদের হাতে নেই। চাকরি পেতে হলে আন্দোলনকারীদেরও নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া মেনেই পেতে হবে।
বুধবার এ কথা স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান গৌতম পাল। ফলে প্রশ্ন উঠেছিল, এর পরও কি আন্দোলন চালিয়ে যাবেন চাকরিপ্রার্থীরা? বৃহস্পতিবার অবশ্য আন্দোলনকারীরা জানিয়ে দিয়েছেন, নিয়োগপত্র হাতে না পেলে এই আন্দোলন চলবে।