—প্রতীকী ছবি।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের সঙ্গে সঙ্গেই বুধবারই তড়িঘড়ি টেটের ফলপ্রকাশ করা হল। প্রাথমিক এবং অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ফলপ্রকাশ করার কথা জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এবং স্কুল সার্ভিস কমিশন।
এ দিন কলকাতা হাইকোর্টে টেট মামলার নিষ্পত্তি হওয়া মাত্রই তড়িঘড়ি ফলপ্রকাশের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তার পরেই এক সাংবাদিক সম্মেলন করে টেটের ফলপ্রকাশ করার খবর জানান প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। তবে খুব দ্রুত তা বের করায় ফলপ্রকাশের খবরটুকু ছাড়া এই বিষয়ে আর কোনও তথ্য জানাতে পারেনি পর্ষদ। শুধুমাত্র জানানো হয়েছে, WWW.wbresults.nic.in এই ওয়েবসাইটে গিয়ে রোল নম্বর দিয়ে পরীক্ষার্থীরা নিজেদের রেজাল্ট দেখতে পারবেন। অর্থাৎ তিনি টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন কি না তা জানতে পারবেন। আর যাঁদের ফল ‘অপ্রকাশিত’ আসবে কাগজপত্র নিয়ে তাঁদের ১০ দিনের মধ্যে পর্ষদে দেখা করতে হবে।
মোট উত্তীর্ণ হওয়া পরীক্ষার্থীর সংখ্যা, তাঁদের মধ্যে কতজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং কতজনই বা প্রশিক্ষণহীন, মোট শূন্যপদ ইত্যাদি সমস্ত তথ্য পরে জানাবে পর্ষদ।
আরও পড়ুন: টেটের ফল প্রকাশ, প্রশিক্ষিতদের আগে নিয়োগের নির্দেশ
এ দিনই উচ্চ প্রাথমিক অর্থাৎ পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত টেটের ফলপ্রকাশ হয়েছে। প্রাথমিকের মতো স্কুল সার্ভিস কমিশনের ওয়েবসাইটে গিয়ে পরীক্ষার্থীরা নিজেদের ফল দেখতে পারবেন।
২০১৫ সালের ১১ অক্টোবর প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা হয়েছিল। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২০ লক্ষ ১ হাজার ৩০১ জন। আর ২০১৫ সালের ১৬ অগস্ট উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের এই টেট পরীক্ষা হয়েছিল। কিন্তু এই দুই ক্ষেত্রেই নিয়োগকে ঘিরে মামলা চলছিল হাইকোর্টে। কারণ, কেন্দ্রীয় নির্দেশিকা অনুসারে, শুধুমাত্র প্রশিক্ষিতরাই এই পরীক্ষায় বসতে পারবেন। কিন্তু যাতে প্রশিক্ষণহীনরাও পরীক্ষায় বসতে পারেন তাই কেন্দ্রীয় নির্দেশিকার বিরোধিতা করে রাজ্য সরকার মামলা করে। দীর্ঘদিন ধরেই হাইকোর্টে এই মামলা চলছিল। এ দিন সেই মামলার নিষ্পত্তি হল। আদালত দ্রুত ফলপ্রকাশ করে প্রশিক্ষিতদের অগ্রাধিকার দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।