TET Scam

ইডি দফতরে মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল, নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদ

কয়েক দিন আগেই তাপসের বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বেশ কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। সেই সূত্রেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০২২ ১২:১২
Share:

মানিক ভট্টাচার্য ও তাপস মণ্ডল। ফাইল চিত্র।

শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় বৃহস্পতিবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) দফতরে হাজিরা দিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত তাপস মণ্ডল। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা ৪০ মিনিট নাগাদ সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে (যেখানে ইডির দফতর রয়েছে) যান তাপস। দুর্নীতি-কাণ্ডে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বৃহস্পতিবার তলব করেছিল ইডি।

Advertisement

কয়েক দিন আগেই তাপসের বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তিনটি বিএড কলেজ ছাড়াও, তাপসের সংস্থা ‘মিনার্ভা এডুকেশনাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’ও ইডির আতশকাচের নীচে রয়েছে। এই সংস্থার অধীনে ছয় থেকে সাতটি পলিটেকনিক এবং আইটিআই কলেজ রয়েছে বলে জানিয়েছে ইডি। সূত্রের খবর, মানিক-পুত্র শৌভিক ভট্টাচার্যের সংস্থার সঙ্গে ৫৩০টি বেসরকারি বিইডি, ডিএলএড কলেজের মানোন্নয়নের জন্য যে ২.৬৪ কোটি টাকার চুক্তি হয়েছিল, সেই সম্পর্কেই তাপসের কাছে জানতে চাওয়া হবে। এ ছাড়াও নিয়োগের ক্ষেত্রে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কোনও যোগসূত্র রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হবে বলে ইডি সূত্রে খবর। তাপসের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। সেই সূত্রেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। ‘বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং কলেজ অ্যাসোসিয়েশনে’ তাপসের কী ভূমিকা ছিল সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ইডি দফতরে হাজিরা দিতে পারবেন না বলে মঙ্গলবার ইডিকে মেল করেছিলেন তাপস। কিন্তু তাঁকে অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়নি।

Advertisement

জানা গিয়েছে, রাজ্যের ৫৩০টি বেসরকারি বিএড এবং ডিএলএড কলেজের থেকে মানিক-পুত্রের সংস্থা এককালীন ৫০ হাজার টাকা করে নিয়েছিল বলে অভিযোগ তুলেছে ইডি। এ নিয়েই তাপসকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে খবর।

নিজের তিনটি কলেজের জন্য মোট দেড় লক্ষ টাকা দিয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন তাপস। কেন টাকা দিতে হল? এ নিয়ে আনন্দবাজার অনলাইনে মুখ খুলেছিলেন তাপস। তিনি বলেছিলেন, ‘‘সব কলেজ টাকা দিয়েছিল। টাকা দিতে বলা হয়েছিল। তাই আমরাও দিয়েছি। বিভাস আমাদের বলেছিল, স্যরের নির্দেশ মতো টাকা দিতে হবে।’’ কিন্তু কে এই স্যর? তা অবশ্য স্পষ্ট করে জানাননি তাপস। যদিও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিকের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল, স্বীকার করেছেন তিনি।তবে, মানিকের সঙ্গে পরিচয় থাকলেও তাঁর ছেলে শৌভিকের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল না বলে দাবি করেছেন তাপস।

ইডির অভিযোগ, চাকরি দেওয়ার নামে অনেক চাকরিপ্রার্থীর কাছে টাকা নিয়েছেন তাপস। এমনকি, উচ্চ প্রাথমিকে চাকরি দেবেন বলেও অনেকের কাছ থেকে ‘অগ্রিম’ টাকা নিয়েছেন। কিন্তু সেই প্যানেল তৈরি না হওয়ার কারণে চাকরি দিতে পারেননি বলে অভিযোগ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement