TET Scam

Primary Case: প্রাথমিক নিয়োগের তদন্তে সিবিআই-ই, স্থগিতাদেশ নিয়ে আবার শুনানি বৃহস্পতিবার

আইনজীবী জানান, পরীক্ষা দিয়েছিলেন প্রায় ২৩ লক্ষ পরীক্ষার্থী। তাতে ২৬৯ জনের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পর্ষদ সেই ভুল সংশোধন করতে রাজি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০২২ ১৪:৪১
Share:

আবার বৃহস্পতিবার মামলার শুনানি হবে। ফাইল চিত্র।

প্রাথমিক স্কুলে বেআইনি নিয়োগ তদন্ত মামলায় আপাতত একক বেঞ্চের রায়ই বহাল রইল। মঙ্গলবার বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে সংশ্লিষ্ট মামলার শুনানি শুরু হয়েও শেষ হল না। মাত্র ১০ মিনিট এই মামলা শোনার পর আদালত জানায়, আগামী বৃহস্পতিবার আবার শুনানি হবে।

Advertisement

২০১৪ সালে প্রাথমিক টেট পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। পরীক্ষা হয় ২০১৫ সালে। ২০১৬ সালে নিয়োগের প্রথম প্যানেল প্রকাশের পর ২০১৭ সালে দ্বিতীয় প্যানেলে নাম ওঠে ২৬৯ জনের। সেই ২৬৯ জনের চাকরি সম্প্রতি বাতিল করে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ। এর মধ্যে শুধু হুগলি জেলার ৬৮ জন শিক্ষকের চাকরি গিয়েছে। এ নিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে দায়ের হওয়া মামলার শুনানিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী লক্ষ্মী গুপ্ত বলেন, পরীক্ষা দিয়েছিলেন প্রায় ২৩ লক্ষ পরীক্ষার্থী। তার মধ্যে ২৬৯ জনের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পর্ষদ সেই ভুল সংশোধন করতে রাজি। আইনজীবী জানান, ভুলত্রুটি হলে তা সংশোধনের সুযোগ দেওয়া হোক। পাশাপাশি, তাঁর এ-ও দাবি, ২৬৯ জন নয়, তদন্তে জানা গিয়েছে, ২৬৫ জন শিক্ষকের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

দ্বিতীয় প্যানেলে জায়গা পাওয়া ২৬৯ জনের নিয়োগে প্রশ্ন উঠেছে, কেন তাঁদের আলাদা করে এক নম্বর বেশি দেওয়া হয়েছিল। পর্ষদের ব্যাখ্যা— প্রশ্নপত্রের একটি প্রশ্নে সমস্যা ছিল। তাই পরে এক নম্বর করে বাড়ানো হয়েছিল। কিন্তু তাই যদি হয়, তবে অন্য কোনও পরীক্ষার্থী কেন সেই বাড়তি নম্বর পেলেন না, এ নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। মঙ্গলবার পর্ষদের তরফে আইনজীবী বলেন, সবাইকে এই নম্বর দেওয়া হয়েছে। এর পরেই শুনানি মুলতুবি হয়ে যায়।

Advertisement

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তেফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement