কালীঘাটের কাকুর কথা কুন্তলের কাছেই শুনেছিলেন বলে জানিয়েছিলেন তাপস মণ্ডল। ফাইল চিত্র।
নামের গুণেই বিখ্যাত ‘কালীঘাটের কাকু’। আর সেই নামে নাকি তাঁকে ডাকতেন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত তৃণমূলের বহিষ্কৃত যুবনেতা কুন্তল ঘোষ। কিন্তু বৃহস্পতিবার সেই কুন্তলের কাছেই যখন ‘কালীঘাটের কাকু’র কথা জানতে চাওয়া হল, তখন অদ্ভুত কায়দায় প্রশ্নটি এড়িয়ে গেলেন তিনি। প্রথমে খানিক মুখভঙ্গি, তার পর দু’একটা শব্দ উচ্চারণ করে কুন্তল জানিয়ে দিলেন, এ বিষয়ে নতুন কিছু বলার নেই তাঁর।
বৃহস্পতিবার আলিপুরের দায়রা আদালতে শুনানি ছিল নিয়োগ মামলায় অভিযুক্ত কুন্তল এবং তাপস মণ্ডলের। আদালতে যাওয়ার পথে কুন্তলকে ঘিরে ধরেন সাংবাদিকেরা। নানা প্রশ্নের মধ্যেই জানতে চাওয়া হয়, ‘কালীঘাটের কাকুর’ সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক আছে কি না। কারণ তাপস বার বার বলে এসেছেন, কুন্তলের কাছেই তিনি শুনেছিলেন ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের নাম। এমনকি, তাঁর কাছে টাকা জমা দেওয়ার কথাও বলেছিলেন তৃণমূলের বহিষ্কৃত হুগলির যুব নেতা। বৃহস্পতিবার যদিও ‘কালীঘাটের কাকু’র প্রসঙ্গ উঠতেই চোখ বন্ধ করে ভ্রু কুঁচকে বিরক্তিসূচক একটি মুখভঙ্গি করেন কুন্তল। মাথা নেড়ে বলেন, ‘‘আমার আর কিছু বলার নেই।’’
কুন্তলের কাছে এ-ও জানতে চাওয়া হয়, তিনি অন্য কোনও নাম বলতে চান কি না। তার উত্তরেও মাথা নেড়ে ‘না’ই বলেন কুন্তল। উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই কুন্তল একাধিক নাম প্রকাশ করেছেন। কুন্তলকে জেরা করার পর নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত বহু নামই প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও ‘কালীঘাটের কাকু’র নাম প্রথম বলেছিলেন নিয়োগ মামলার আর এক অভিযুক্ত তাপস। পরে গোপাল দলপতি ওরফে আরমান গঙ্গোপাধ্যায়ও জানিয়েছিলেন, তিনি ‘কালীঘাটের কাকু’র কথা জানতেন। বৃহস্পতিবার কুন্তলের মন্তব্যে ‘কালীঘাটের কাকু’কে নিয়ে রহস্য আরও বৃদ্ধি পেল।