রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। —ফাইল চিত্র।
শিক্ষামন্ত্রী তথা রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই আচার্য-রাজ্যপালের তরফে অস্থায়ী উপাচার্য বেছে নেওয়ার বিষয়টিকে ঘিরে রাজ্য-রাজভবন সংঘাত তীব্রতর হয়ে উঠতে পারে বলে শিক্ষা শিবির-সহ বিভিন্ন মহলে আশঙ্কা বাড়ছে। কারণ, রাজ্যের সরকার পোষিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের মধ্যে আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যপদ আজ, বৃহস্পতিবারেই শূন্য হয়ে যাচ্ছে। যে-সব বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্যদের মেয়াদ শেষ হতে চলেছে, সেখানে রাজ্যপাল আবার শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই নিজের মতো নতুন অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করবেন কি না, জোরদার হয়েছে সেই প্রশ্ন।
রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস ইতিমধ্যে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই ১৩ জন অস্থায়ী উপাচার্যকে বাছাই করেছেন। তার বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলাও হয়েছে। ওই উপাচার্যদের মধ্যে সাত জনের ইউজিসি বা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নিয়মবিধি অনুযায়ী অধ্যাপক হিসেবে ১০ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা নেই বলেও অভিযোগ উঠেছে।
যে-সব বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্যদের মেয়াদ বৃহস্পতিবার শেষ হতে চলেছে, তার মধ্যে রয়েছে রবীন্দ্রভারতী, বিদ্যাসাগর, ঝাড়গ্রাম সাধু রামচাঁদ, রায়গঞ্জ, হিন্দি, হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ, হুগলির গ্রিন বিশ্ববিদ্যালয়, আনিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয়। ডায়মন্ড হারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য কাজল দে-র মেয়াদও বৃহস্পতিবার শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আচার্য-রাজ্যপাল আগেই তাঁকে আবার অস্থায়ী উপাচার্য হিসেবে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন। অন্য তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্যদের মেয়াদ ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গেলেও নতুন করে এখনও কাউকে সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। সেগুলি হল বারাসত পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয়, পঞ্চানন বর্মা ও গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। বেশ কয়েক মাস ধরে দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ও উপাচার্যহীন।