মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি পিটিআই।
দলীয় সংগঠন এবং স্থানীয় প্রশাসনের দায়িত্বে রদবদল নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে টানাপোড়েন সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসছে। এ বার স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাতেও তার প্রতিফলন ঘটল। বুধবার মধ্যমগ্রামে উত্তর ২৪ পরগনার প্রশাসনিক বৈঠকে অনুপস্থিত রইল দমদম পুরসভা। মমতা খোঁজ নেন, কোথায় দমদম?
তিনদন আগেই সোনারপুরে শহর সভাপতির পদ থেকে শিবনাথ ঘোষকে সরানোর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ তীব্র আকার নেয়। বিধায়ক অরুন্ধতী (লাভলি) মৈত্র নিজে শিবনাথের পক্ষে পথে নেমে অন্যদিকে জেলার সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তীর বক্তব্য, তিনি এআইটিসি’র নির্দেশ মতো নতুন সভাপতিকে স্বীকৃতি দিয়েছেন। উল্লেখ্য, এআইটিসি’র সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
সূত্রের খবর, মমতা নিজে শিবনাথকে সরানোর পক্ষে নন। তিনি তাঁকে পুরনো পদে ফেরাতে বলে দিয়েছেন। যদিও বুধবার রাত পর্যন্ত তা কাযর্কর হয়েছে বলে খবর নেই। এর মধ্যে এ দিনই ঘটে দমদমপর্ব। কেন সেখানকার কেউ মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে নেই তার কারণ ব্যাখ্যা করে সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘‘মুখ্য প্রশাসক নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। কে মুখ্য প্রশাসক থাকবেন তা এখনও পাকাপাকিভাবে ঠিক হয়নি। যে কারণে বৈঠকে থাকার চিঠি পেয়েও কেউ হাজির হতে পারেননি।’’
দলীয় সূত্রে খবর, দমদম পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ছিলেন হরিন্দর সিংহ। তাঁর জায়গায় সম্প্রতি বরুণ নট্টকে আনা হলে জলঘোলা শুরু হয়। তার জেরেই এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে দমদম পুরসভার প্রতিনিধি ছিলেন না। পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য বরুণ অবশ্য বলেন, ‘‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা ঠিক নয়। মুখ্যপ্রশাসক কে হবেন তা দল ঠিক করবে।’’ তবে এ দিন প্রশাসনিক বৈঠক এ পুরসভার কেন কেউ হাজির হলেন না তা নিয়ে অবশ্য তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। সাংসদ সৌগতবাবু জানান, প্রশাসকমণ্ডলী রয়েছে। এ নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান হরিন্দর।