Bharat Jodo Nyay Yatra

রাহুলের ‘ন্যায় যাত্রা’ বাংলায় ঢোকার আগেই ছেঁড়া হল কংগ্রেসের ফ্লেক্স, অভিযুক্ত তৃণমূল

রাহুলের যাত্রা উপলক্ষে কয়েক দিন ধরেই কোচবিহারের বিভিন্ন জেলায় প্রচারের জন্য ফ্লেক্স লাগানো হয়েছিল। গত দু’দিন ধরে সেই সব ফ্লেক্স ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে বলেই অভিযোগ করেছেন কংগ্রেসের রাজ্য নেতৃত্ব।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২৪ ১৫:৩৫
Share:

রাহুল গান্ধী (বাঁ দিকে)। ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’-র ফ্লেক্স (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

৪৮ ঘণ্টা পরে রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ বাংলার সীমানায় প্রবেশ করবে। বৃহস্পতিবার কোচবিহারের বক্সীরহাট দিয়ে তাঁর যাত্রা বাংলার ঢোকার কথা। তার আগেই কোচবিহারের একাধিক জায়গায় কংগ্রেসের এই রাজনৈতিক কর্মসূচির উদ্দেশে লাগানো একগুচ্ছ ফ্লেক্স ছেঁড়া হল। এই ঘটনায় বাংলার শাসকদল তৃণমূলকে অভিযুক্ত করেছে কংগ্রেস। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব।

Advertisement

রাহুলের যাত্রা উপলক্ষে কয়েক দিন ধরেই কোচবিহারের বিভিন্ন জেলায় প্রচারের জন্য ফ্লেক্স লাগানো হয়েছিল। গত দু’দিন ধরে সেই সব ফ্লেক্স ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে বলেই অভিযোগ করেছেন কংগ্রেসের রাজ্য নেতৃত্ব। কোচবিহারের কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করে কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, শাসকদল এবং দুষ্কৃতীরা বিভিন্ন জায়গায় তাঁদের নেতার কর্মসূচির জন্য লাগানো প্রচারের একাধিক ফ্লেক্স ছিঁড়ে দিয়েছেন। তাই প্রশাসন যেন এর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করে। অভিযোগের আঙুল উঠেছে বাংলার শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সুর চড়িয়ে কংগ্রেস মুখপাত্র সৌম্য আইচ রায় বলেন, ‘‘তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনী কোচবিহারে রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার ফ্লেক্স ছিঁড়ে দিচ্ছে। এই ভাবে ন্যায় যাত্রা বন্ধ করা কোনও দিন যায়নি এবং যাবে না। তৃণমূল নামক হিংস্র, এবং বিজেপির দালালরা যদি মনে করে এই ভাবে আমাদের যাত্রা বন্ধ করবে, ওরা মূর্খের স্বর্গে বসবাস করছে। মানুষ এই নোংরা রাজনীতির জবাব দেবে।’’

কংগ্রেসের এমন অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ তথা আলিপুরদুয়ার জেলার সভাপতি প্রকাশ বড়াইক। তিনি বলেন, ‘‘আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। তাই সব রাজনৈতিক দলেরই বাংলার কর্মসূচি করার অধিকার রয়েছে। তা ছাড়া আমরা এমন কাজ করতে পারি না, করবও না। গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে তৃণমূল। কংগ্রেস আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করছে, তা ভিত্তিহীন।’’ উল্লেখ্য, আগামী বৃহস্পতিবার অসম থেকে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করছে রাহুলের ন্যায় যাত্রা। ওই দিন সকাল ১১টা নাগাদ অসম থেকে বাংলায় প্রবেশের সময় কর্মসূচির পতাকা হস্তান্তর হবে। দুপুর ১২টা নাগাদ তুফানগঞ্জের চামটা মোড় বসাকপাড়া এলাকা থেকে ১০ কিলোমিটার বাসে যাত্রা করবেন রাহুল। মাঝে বিশ্রাম পর্ব সেরে দুপুর ২টোয় আবারও গাড়িতে যাত্রা শুরু হবে। কোচবিহার শহরের মা ভবানী মোড় থেকে ১৫ কিলোমিটার পদযাত্রা করবেন রাহুল। কোচবিহারের ঘোকসাডাঙা থেকে ১৯ কিলোমিটার বাসে যাত্রা করবেন। আলিপুরদুয়ার জেলার ফালাকাটা টাউন ক্লাবের মাঠে রাত্রিবাসের কর্মসূচি রয়েছে তাঁর।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement