—নিজস্ব চিত্র।
রাস্তার ধারে বেআইনি দোকান ও অবৈধ পার্কিংয়ের অভিযোগ ঘিরে দোকানি এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়াল বেলুড়ে। অভিযোগ, শনিবার দু’পক্ষই একে অপরের দিকে ইটপাটকেল, বোতল ছোড়ে। ভাঙচুর চলে একের পর এক দোকানে। সংঘর্ষের জেরে বড়দিনের ছুটিতে উৎসবের আবহেও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে বেলুড়ের গিরিশ ঘোষ রোড এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বালি থানার পুলিশ। নামানো হয় র্যাফও। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দু’পক্ষের তিন জনকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, বড়দিনের আগের রাত থেকেই গিরিশ ঘোষ রোডে দু’পক্ষের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, গিরিশ ঘোষ রোডের ধারে সার সার বেআইনি দোকান গড়ে উঠেছে। পাশাপাশি, বেআইনি ভাবে যত্র তত্র টোটো পার্কিংও চলছে। এ নিয়ে ওই দোকানমালিকদের সঙ্গে শুক্রবার রাতে দফায় দফায় বচসা বাধে স্থানীয়দের একাংশের। তবে তখনকার মতো ঝামেলা মিটে গেলেও শনিবার সকালে তা সংঘর্ষে পরিণত হয়। অভিযোগ, শনিবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দু’পক্ষই ইট, বোতল নিয়ে পরস্পরকে আক্রমণ করে। চলে দেদার ভাঙচুর। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়।
দফায় দফায় সংঘর্ষের জেরে এলাকায় প্রায় আধ ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে বালি থানার উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন। সংঘর্ষে লিপ্ত থাকার অভিযোগে কয়েক জন স্থানীয় বাসিন্দাকে আটক করা হয়। পুলিশের পাশাপাশি টহলদারি শুরু করে র্যাফ। পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘বেআইনি দোকানদারি এবং অবৈধ পার্কিংয়ের অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
উত্তেজনা আপাতত প্রশমিত হলেও যুযুধান দু’পক্ষের মধ্যে তরজা থামেনি। অভিষেক গুপ্ত নামে এক বাসিন্দার দাবি, ‘‘গিরিশ ঘোষ রোডের ধারে বেআইনি ভাবে দোকান গড়ে উঠেছে। বার বার বলে সমস্যার সমাধান হয়নি।’’ যদিও অভিষেকের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করেছেন বিশ্বজিৎ মণ্ডল নামে আর এক বাসিন্দা। তাঁর কথায়, ‘‘এই এলাকায় বেআইনি ভাবে পার্কিং করিয়ে টোটোচালকদের কাছ থেকে টাকা তোলেন অভিষেক গুপ্ত।’’