রাজ্যের ১৮টি জায়গায় দিনের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের গণ্ডি ছাড়াল। — ফাইল চিত্র।
স্বস্তি তো দূর অস্ত্, বৈশাখের প্রথম সপ্তাহেই রাজ্যের ১৮টি জায়গায় তাপমাত্রা ছাড়়াল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের গণ্ডি। কিছু জায়গায় দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ৬ থেকে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও বেশি। কলকাতাতেও দিনের তাপমাত্রা ছাড়াল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের গণ্ডি। শুক্রবার কলকাতায় দিনের তাপমাত্রা ছিল ৪০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। গরমের নিরিখে রাজ্যে আবারও শীর্ষে পানাগড়। বৃহস্পতিবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় তাকে টেক্কা দিয়ে এগিয়ে গিয়েছিল মেদিনীপুর। শুক্রবার মেদিনীপুরকে পিছনে ফেলে পানাগড়ের দিনের তাপমাত্রা গিয়ে পড়ল ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। স্বাভাবিকের থেকে ৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।
দমদম এবং সল্টলেক আগেই ৪০-এর গণ্ডি ছাড়িয়েছিল। শুক্রবারও সেই ধারা বজায় থাকল। দমদমে দিনের তাপমাত্রা ছিল ৪১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। সল্টলেকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়েও দিনের তাপমাত্রা ছিল ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ৫.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।
গোটা রাঢ় বাংলা জুড়ে দিনের তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি। বাঁকুড়ায় দিনের তাপমাত্রা ছিল ৪২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ৪.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। পুরুলিয়ায় ছিল ৪২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বীরভূমের শ্রীনিকেতনে দিনের তাপমাত্রা ছিল ৪১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সিউড়িতে দিনের তাপমাত্রা ৪৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেখানে তীব্র তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছিল হাওয়া অফিস। আসানসোলে দিনের তাপমাত্রা ছিল ৪২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ৪.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। কৃষ্ণনগরে শুক্রবার দিনের তাপমাত্রা ছিল ৪০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রাজ্যের কোথায় কত তাপমাত্রা, রইল পরিসংখ্যান। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
গরমের নিরিখে কম যায় না মেদিনীপুরও। শুক্রবার সেখানে দিনের তাপমাত্রা ছিল ৪৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। ঝাড়গ্রামে দিনের তাপমাত্রা ছিল ৪৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি। এই দুই জায়গাতেই তীব্র তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি ছিল। শুক্রবার থেকে মঙ্গলবার দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস জারি করেছে হাওয়া অফিস। বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে। যদিও তার পরেও গরমের কারণে বহু মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। রাজ্যের শিক্ষা দফতর সোমবার থেকে পাহাড় বাদে সমস্ত সরকারি স্কুলে গরমের ছুটি ঘোষণা করেছে। বেসরকারি স্কুলগুলিকেও এই চিন্তাভাবনা করতে বলেছে। কলকাতা-সহ জেলার অনেক বেসরকারি স্কুলই সোমবার থেকে ছুটি ঘোষণা করেছে। কিছু স্কুল অনলাইন ক্লাস নেওয়ার কথা জানিয়েছে।