পূর্ব ভারতের দিকে বয়ে আসার ফলে রাতের পারদ পতনেও বাধা তৈরি হচ্ছে। ফাইল চিত্র।
সপ্তাহ খানেক আগেও হাড়কাঁপানো শীতে জবুথবু হয়েছিল পুরুলিয়া, পানাগড়, শ্রীনিকেতন। সোমবার সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছেপিঠে ঘোরাফেরা করছে! খাস কলকাতা কিংবা শহরের উপকণ্ঠে দমদমের রাতের তাপমাত্রা উঠে গিয়েছে স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি উপরে!
এই পরিস্থিতিতে বছরের শেষে শীত ফিরবে কিনা, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। আবহবিদদের অনুমান, চলতি বছরের শেষ দিন থেকেই তাপমাত্রা নামতে পারে। তবে ফের শীতের কাঁপুনি মিলতে পারে নতুন বছরের দু’দিন পেরনোর পরেই। এ দিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আসানসোলে ১৪.৬ ডিগ্রি, বর্ধমানে ১৬ ডিগ্রি, উলুবেড়িয়ায় ১৬ ডিগ্রি, ক্যানিংয়ে ১৪.৬ ডিগ্রি ছিল। উত্তরবঙ্গের পাহাড় এবং তরাইয়ে অবশ্য স্বাভাবিক ভাবেই ঠান্ডা বেশি রয়েছে। রাতের তাপমাত্রা দার্জিলিঙে ৩ ডিগ্রি, কোচবিহারে ৭.৬ ডিগ্রি, কালিম্পঙে ৮ ডিগ্রিতে নেমেছে।
আবহবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, উত্তর-পশ্চিম ভারতে হাজির হওয়া পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণেই উত্তুরে হাওয়া বাধা পেয়েছে। সেই ঝঞ্ঝা ক্রমশ পূর্ব ভারতের দিকে বয়ে আসার ফলে রাতের পারদ পতনেও বাধা তৈরি হচ্ছে। উল্টে আজ, মঙ্গলবার, আগামিকাল, বুধবার এবং পরশু, বৃহস্পতিবার গাঙ্গেয় বঙ্গের বিভিন্ন জেলায় হাল্কা বৃষ্টি হতে পারে। সেই প্রভাব কেটে গেলেই নামতে পারে রাতের পারদ। আগামী শনিবার বছরের প্রথম দিনে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকতে পারে।