ছবিতে বাঁ দিকে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (ফাইল চিত্র), ডান দিকে আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি দল রাজভবন থেকে বেরিয়ে আসছেন। (নিজস্ব চিত্র)
মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) নিয়ে আন্দোলনকারীদের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল গেল রাজভবনে। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস শনিবারই ডিএ সংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে আলোচনার ডাক দিয়েছিলেন। আলোচনার মাধ্যমেই সমস্ত সমস্যার সমাধান সম্ভব বলে জানিয়েছিলেন তিনি। তার পর রবিবার বেলায় রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে গেল আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি দল।
রবিবার বেলা ১১টার নাগাদ রাজভবনে পৌঁছয় আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি দল। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের পাঁচ সদস্য রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে যান।
রাজভবনে ১০ থেকে ১৫ মিনিট ছিলেন তাঁরা। বেরিয়ে এসে জানান, রাজ্যপাল তাঁদের আশ্বস্ত করেছেন। সিভি আনন্দ বোস নিজেও প্রাক্তন সরকারি কর্মচারী। তিনি জানিয়েছেন, আন্দোলনকারীদের ডিএ সংক্রান্ত দাবি যথার্থ। সাংবিধানিক পদে থেকে তিনি এই দাবি পূরণের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন।
ডিএ সংক্রান্ত আলোচনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপালের সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক চেয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। রাজ্যপাল জানিয়েছেন, তিনি সেই বৈঠক আয়োজনের চেষ্টা করবেন।
তবে রাজ্যপালের আশ্বাস মিললেও এখনই আন্দোলন বন্ধ করা হচ্ছে না। রাজ্যপালের আশ্বাসের পর কী পদক্ষেপ করা হয়, তা আগে দেখবেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যেরা। সেই অনুযায়ী আন্দোলন নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
রাজভবনে এল ডিএ আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি দল। নিজস্ব চিত্র।
এর আগে শনিবার রাতে রাজভবন থেকে দু’টি টুইট করেছিলেন রাজ্যপাল। সেখানে তিনি জানিয়েছিলেন, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ-র দাবিতে আন্দোলন চতুর্থ সপ্তাহে পা দিয়েছে, এতে তিনি ব্যথিত। সমস্যাটি জটিল হলেও আলোচনার মাধ্যমেই তার সমাধান সম্ভব। তাই অবিলম্বে অনশন তুলে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছিলেন রাজ্যপাল বোস।
রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে রাজভবন থেকে বেরোলেন আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিরা। নিজস্ব চিত্র।
কেন্দ্রীয় হারে ডিএ এবং বকেয়া ডিএ পরিশোধের দাবিতে গত চার সপ্তাহ ধরে আন্দোলন করছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। অনশনের পাশাপাশি গত বৃহস্পতিবার ৫৫টি সরকারি কর্মী সংগঠনের যৌথমঞ্চ প্রশাসনিক ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল। পাল্টা ধর্মঘট রুখতে কড়া অবস্থান নিয়েছিল রাজ্য সরকারও। সেই দিনও ডিএ আন্দোলনকারীদের কাছে অনশন তোলার আবেদন জানিয়েছিলেন রাজ্যপাল। শনিবারের টুইটের পর রাজভবনে গেলেন আন্দোলনকারীরা।