বর্ধমানে ঢাকঢোল বাজিয়ে শোকজ়ের উত্তর দিতে যাচ্ছেন শিক্ষকরা। —নিজস্ব চিত্র।
ঢাকঢোল পিটিয়ে শোকজ়-এর জবাব দিতে এলেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। কেউ আওড়ালেন কবিতা, কেউ গাইলেন গান। বকেয়া ডিএ-এর দাবিতে গত ১০ মার্চ ধর্মঘটের দিন অনুপস্থিতির কারণ দর্শাতে আসা শিক্ষকদের এ ভাবেই দেখা গেল বর্ধমান এবং আলিপুরদুয়ারে। মঙ্গলবার বর্ধমানে শোকজ়ের উত্তর দিতে আসা শিক্ষকরা মহাসমারোহে জমায়েত হন ডিআই অফিসের সামনে। দুপুরের পর জেলার নানা প্রান্তে শোকজ়ের চিঠি পাওয়া শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী এবং গ্রন্থাগারিক জমায়েত হয়ে মিছিল করেন। কবিতা-ছড়া, স্লোগানে হইচই করে তাঁরা অনুপস্থিতির কারণ লিখিত আকারে জমা করেন।
গত ১০ মার্চ রাজ্য জুড়ে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ডাকা ধর্মঘটে সাড়া দিয়েছিলেন বর্ধমানের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। এর পর জেলার প্রায় ২,৫০০ রাজ্য সরকারি কর্মচারীকে শোকজ় করা হয়। আন্দোলনকারীদের তরফে বৈদ্যনাথ দত্ত বলেন, ‘‘ধর্মঘট মৌলিক অধিকার। ১৯৮০ সালে তা স্বীকৃত হয়েছে। এই ধর্মঘটে দেড় লাখ কর্মী অংশ নিলেও মাত্র ২৮,০০০ কর্মচারীকে শোকজ় করেছে রাজ্য সরকার। তাই নিজেদের ভাগ্যবান মনে করছি। নির্দিষ্ট দাবিতে ধর্মঘট হয়েছিল। এবং নিয়ম মেনেই হয়েছিল।’’
একই ছবি দেখা যায় আলিপুরদুয়ারেও। ডিআই এবং এসআই অফিসে শোকজ়ের দিতে আসেন উচ্চ মাধ্যমিক এবং প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকেরা। আলিপুরদুয়ারের এবিটিএ জেলা সম্পাদক জয়ন্ত সাহা আবার রাজ্য সরকারের এই শোক়জ় পদক্ষেপের নিন্দা করে আদালতে মামলা করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
শিক্ষকদের এই উচ্ছ্বাসের সঙ্গে শোকজ়ের উত্তর দেওয়ার বিষয়টিকে কটাক্ষ করেছেন আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জিত ধর। তিনি বলেন, ‘‘সরকার যদি কোনও শিক্ষককে শোকজ় করে থাকে, তাহলে তা সরকারি নিয়ম মেনেই করেছে। যদি স্কুলের সময়ে কোনও শিক্ষক স্কুলের গেটে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন, তাহলে সরকার তো আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেই।’’