প্রতীকী ছবি।
চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক-শিক্ষিকারা বদলির নির্দেশ রদ করার আবেদন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দারস্থ হবেন বলে শনিবার জানান শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক মইদুল ইসলাম। তিনি জানান, বদলি আটকাতে সংগঠনের পক্ষ থেকে হাই কোর্টেরও দারস্থ হবেন তাঁরা। মইদুলের অভিযোগ, চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকদের বদলির প্রথা নেই অথচ তাঁদের সংগঠনের ১৬ জন চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকদের বদলি করা হয়েছে।
মইদুল জানান, তাঁরা শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর বাড়িতে গিয়ে চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকদের স্থায়ীকরণ ও বেতন বৃদ্ধি নিয়ে একাধিক বার কথা বলতে গিয়েছিলেন। কিন্তু শিক্ষামন্ত্রীর দেখা পাননি। এর পর তাঁরা বিকাশ ভবনে এবং নবান্নে গিয়ে তাঁদের দাবি নিয়ে বিক্ষোভ দেখান। নিজেদের দাবিদাওয়া নিয়ে বারবার আন্দোলন করাতেই প্রতিহিংসামূলক ভাবে তাদের বদলি করা হল বলে মইদুলের দাবি।
মইদুল জানান, তাঁদের সংগঠনের শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের (এসএসকে) পাঁচ শিক্ষিকা, এক জন বৃত্তিমূলক শিক্ষিকা এবং ৯ জন পুরসভার অন্তর্গত শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের (এসএসকে) শিক্ষিকাকে বদলি করা হয়েছে। বদলি করা হয়েছে তাঁকেও।
মইদুলের দাবি, চুক্তিভিত্তিক এসএসকে-র শিক্ষক-শিক্ষিকারা খুব কম বেতন পান। তার উপরে শুধু বদলি নয়, দক্ষিণবঙ্গের শিক্ষকদের প্রায় সবাইকেই উত্তরবঙ্গে বদলি করা হয়েছে। শুধু তাই নয় বাংলা মাধ্যমের এসএসকে শিক্ষিকা ছবি চাকীকে মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জ থেকে জলপাইগুড়ির মাল ব্লকের একটি হিন্দি মাধ্যম স্কুলে পাঠানো হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনি ব্লকের আদিবাসী শিক্ষিকা জোনা টুডুকে জলপাইগুড়ির ধুপগুড়ি ব্লকের একটি হিন্দি মাধ্যম স্কুলে পাঠানো হয়েছে। মইদুল দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার কুলপির হেলেগাছি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। তাঁকে হলদিবাড়ির একটি স্কুলে পাঠানো হয়েছে। মইদুল বলেন, “আমাকে আইনত বদলি করা যায় ঠিকই কিন্তু যেখানে উৎসশ্রী পোর্টালের মাধ্যমে বদলি প্রক্রিয়া চলছে সেখানে পোর্টাল ছাড়াই আমাকে তড়িঘড়ি করে হলদিবাড়িতে বদলি করা হল কেন? শিক্ষামন্ত্রী কেন চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকদের সমস্যার কথা শুনছেন না?’’ প্রসঙ্গত, শিক্ষামন্ত্রীকে না-পেয়ে পুলিশে নিখোঁজ ডায়েরি করতে গিয়েছিলেন মইদুলেরা। কিন্তু তা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।
এই বদলি এবং চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকদের অভিযোগের ব্যাপারে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে ফোন করা হলেও সাড়া মেলেনি। মেসেজেরও উত্তর দেননি তিনি।