সল্টলেকে বিকাশ ভবনের কাছে বিক্ষোভ। ফাইল চিত্র।
বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে কোনও কোনও শিক্ষক সংগঠন বিক্ষোভ দেখিয়ে ফিরে যাচ্ছেন। আবার কিছু সংগঠনের শিক্ষকেরা ধর্নায় বসে রয়েছেন একটানা কয়েক দিন। বিধানসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে, রাজ্যে ততই জোরদার হচ্ছে শিক্ষকদের আন্দোলন। সল্টলেকের বিকাশ ভবনের সামনে, এসএসসি বা স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে প্রায় রোজই বিক্ষোভ চলছে শিক্ষকদের।
যেমন, বেতনবৈষম্য দূর করার দাবিতে সল্টলেকে বিকাশ ভবনের কাছে উন্নয়ন ভবনের উল্টো দিকে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ধর্না চালিয়ে যাচ্ছেন রাজ্যের স্কুল ও মাদ্রাসার পাশ গ্র্যাজুয়েট শিক্ষক সংগঠন বৃহত্তর গ্র্যাজুয়েট টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যেরা। ওই সংগঠনের সম্পাদক সৌরেন ভট্টাচার্য জানান, তাঁদের দাবি পোস্ট গ্র্যাজুয়েট শিক্ষকদের সঙ্গে পাশ গ্র্যাজুয়েট শিক্ষকদের বেতনে যে-বৈষম্য রয়ে গিয়েছে, অবিলম্বে তা দূর করতে হবে। অন্তত এক লক্ষ দশ হাজার শিক্ষক এই বঞ্চনার শিকার। ‘‘অন্যান্য রাজ্যে এক জন পাশ গ্র্যাজুয়েট (সাধারণ স্নাতক) এবং পোস্ট গ্র্যাজুয়েট (স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ) শিক্ষকের মধ্যে মূল বেতনের পার্থক্য মাত্র ২৭০০ টাকা। অথচ পশ্চিমবঙ্গে সেই তফাত এখন প্রায় ৯২০০ টাকার। আমাদের দাবি, রোপা-২০০৯ সংশোধন করে এই বেতনবৈষম্য দূর করতে হবে। তাই এই ধর্না,’’ বলেন সৌরেনবাবু।
বেতনবৈষম্য দূরীকরণের দাবিতে ধর্নামঞ্চেই রাত জাগছেন শিক্ষকেরা। তাঁদের দাবি, কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি নিয়েই তাঁরা এই ধর্নামঞ্চে বসেছেন। মানব দাস নামে ওই সংগঠনের এক সদস্য-শিক্ষক জানান, বেতনের বৈষম্য কাটানোর ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় আগে আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু সুরাহা হয়নি। তাঁরা এই ধর্নামঞ্চে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বসে থাকবেন। তার পরেও যদি দাবি পূরণ না-হয়, তা হলে তাঁরা এই মঞ্চ থেকে ধর্না-বিক্ষোভের সঙ্গে সঙ্গে শুরু করবেন আমরণ অনশনও। ‘‘আমরা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রতি খুবই সহানুভূতিশীল। সব সময়েই ওঁদের দাবিদাওয়া বিবেচনা করা হয়। এই শিক্ষকদেরও সব দাবি বিচার বিবেচনা করা হবে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পরে,’’ আশ্বাস দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।