শিক্ষকদের ওপর পড়ুয়াদের নৈতিক চরিত্র গঠনের পাঠ দেওয়ার ভার দিলেন মমতা।
ছাত্রছাত্রীদের নৈতিক চরিত্র গঠনের প্রয়োজন। সেই দায়ভার শিক্ষকদেরই নেওয়ার অনুরোধ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে মু্খ্যমন্ত্রী নৈতিক চরিত্র গঠনের ওপর জোর দিয়েছেন। জানিয়েছেন, পড়য়ুাদের নৈতিক চরিত্র গঠনে শিক্ষকদের এগিয়ে আসা উচিত। ওই বিষয়ে অন্তত একটি করে ক্লাস নেওয়া উচিত। রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। একের পর এক মন্ত্রী, শাসকদলের নেতা আতশকাচের তলায় পড়েছেন। প্রাক্তন মন্ত্রী গ্রেফতার হয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে। এই পরিস্থিতিতেই মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রস্তাব বলে মনে করছে তাঁর দল এবং প্রশাসন। তবে এ নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা। ‘অনৈতিকভাবে’ নিযুক্ত শিক্ষকদের কাছে কী শিখবে পড়ুয়ারা, সেই প্রশ্নও তুলেছে তারা।
সোমবার মুখ্যমন্ত্রী শিক্ষকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘শিক্ষকরাই সমাজ গড়ার কারিগর। তাঁরাই তৈরি করছেন সমাজ। তাই তাঁদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সালাম জানাচ্ছি।’’ এর পরেই নিজের প্রস্তাবটি দেন মমতা। শিক্ষকদের উদ্দেশে বলেন, ‘‘একটা করে ক্লাস রাখুন। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী (ব্রাত্য বসু)-কেও বলব একই কথা। এখনই তা হবে না। কারণ, পাঠক্রম তৈরি করতে হবে। পাঠক্রম সংবেদনশীল বিষয়। যাঁরা এটা নিয়ে কাজ করেছেন, গবেষণা করেছেন, তাঁদের দিয়ে করানো উচিত। যাঁরা জীবনটাকে উৎসর্গ করেছেন এই নৈতিক চরিত্র গঠনের জন্য, সেই শিক্ষকদের শামিল করা উচিত। পাঠক্রমে একটা বিষয় এই নিয়ে থাকা উচিত।’’
এসএসসি দুর্নীতি কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এই কাণ্ডে শাসকদলের একাধিক নেতা-মন্ত্রীকে সাম্প্রতিক সময়ে জেরা করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর মধ্যেই শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে ‘নৈতিক চরিত্র’ গঠনের পাঠ দেওয়ার ডাক দিলেন মু্খ্যমন্ত্রী। যে আহ্বান নিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, ‘‘যিনি বলছেন, সবার আগে তাঁর ওই ক্লাস করা উচিত! অনৈতিক ভাবে যে শিক্ষকদের নিয়োগ করা হয়েছে, তাঁদের কাছে তো আর ছাত্রছাত্রীরা নৈতিকতা শিখতে পারবে না! সবার প্রথমে তৃণমূলের সব নেতাকে নৈতিকতার পাঠ নেওয়া উচিত।’’