Teacher Recruitment Scam Case

‘টাকা নিয়েছে কি না, প্রমাণের দায়িত্ব গোপালের’, ইডির জিজ্ঞাসাবাদের আগে মন্তব্য তাপসের

মঙ্গলবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-র মুখোমুখি হতে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হন গোপাল এবং তাপস, দু’জনেই। যদিও দু’জনেই আলাদা ভাবে এসেছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০২৩ ১৪:৪৭
Share:

মঙ্গলবার সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে হাজির হন গোপাল দলপতি এবং তাপস মণ্ডল। —নিজস্ব চিত্র।

চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে গোপাল দলপতি টাকা নিয়েছেন কি না, তা প্রমাণের দায়িত্ব তাঁর। মঙ্গলবার গোপালকে নিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের ‘ঘনিষ্ঠ’ তাপস মণ্ডল। তাঁর আরও দাবি, চাকরিপ্রার্থীদের তাঁর অফিসে নিয়ে আসতেন গোপালই। যদিও সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তাপসের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গোপাল।

Advertisement

মঙ্গলবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-র মুখোমুখি হতে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে একসঙ্গে হাজির হন গোপাল এবং তাপস।

ইডির অভিযোগ, রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো উঁচুতলার লোকজন-সহ বিভিন্ন জনের কাছে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির টাকা পৌঁছে দেওয়ার সময় কুন্তলকে সঙ্গ দিতেন গোপাল। যিনি নিজেও অর্থলগ্নি মামলায় তিহাড় জেলে ছিলেন। তবে জামিনে মুক্ত হওয়ার পর থেকে তাঁর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় গোপালের নাম ওঠার পর থেকেই তাঁকে খুঁজছিল ইডি। মঙ্গলবার তাপসের দাবি, ‘‘তদন্তকারী সংস্থা (ইডি) আমাকে বলেছিল, ‘যে হেতু গোপাল আপনার জেলার লোক, তাই আপনি দেখুন।’ ২৮ তারিখ আমি মেদিনীপুরে গিয়েছিলাম। খোঁজখবর নিয়ে ওঁকে পেয়েছি। এর পর ইডি ওঁকে দেখা করতে বলেছে।’’ তাপসের আরও দাবি, ‘‘আমার ছাত্র-ছাত্রীদের কিছু টাকা তো ও-ই (গোপাল) কালেকশন করে দিয়েছে। টাকা নিয়েছে কি না, তা ও-ই প্রমাণ করবে।’’

Advertisement

এই মামলায় আর এক অভিযুক্ত তথা ধৃত তৃণমূলের যুবনেতা কুন্তল ঘোষ শুক্রবার দাবি করেছিলেন, ‘তাপস-ঘনিষ্ঠ’ গোপালই সকলের হয়ে টাকা নিয়েছিলেন। তাঁর কথায়, ‘‘গোপাল দলপতি ‘মেন’ (আসল) লোক। সকলের হয়ে টাকা নিয়েছে।’’ ইডি সূত্রে আরও দাবি ছিল, নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ অফিসারদের কয়েক দফায় প্রায় সাড়ে ১৫ কোটি টাকা দিয়েছিলেন কুন্তল। কুন্তলকে প্রাথমিক জেরার পর ইডির দাবি, প্রতি বার সেই টাকা লেনদেনের সময় কুন্তলের সঙ্গে ছিলেন বেসরকারি কলেজ সংগঠনের নেতা তাপস মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ গোপাল। তাঁর মহিষবাথানের অফিসে বসেই টাকা নিতেন বলে গোপালের বিরুদ্ধে দাবি করেছিলেন তাপসও। যদিও তাপসের এই অভিযোগ মঙ্গলবার অস্বীকার করেছেন গোপাল। সিজিও কমপ্লেক্সে ঢোকার মুখে তিনি বলেন, ‘‘সব মিথ্যে কথা। টাকা নেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement