নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত তৃণমূলের বহিষ্কৃত যুবনেতা কুন্তল ঘোষ এবং শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল ছবি।
কলকাতার নামী তিন কফিশপে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত তৃণমূলের বহিষ্কৃত যুবনেতা কুন্তল ঘোষ এবং শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় দেখা করতেন। তাঁদের মধ্যে আলোচনাও চলত। ওই কফিশপগুলির কাছ থেকে সিসিটিভি ফুটেজ চেয়ে পাঠানো হয়েছে বলে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) সূত্রে খবর।
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, শান্তনুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তিনটি কফিশপের নাম জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। ওই কফিশপগুলিতে বেশ কয়েক বার দেখা করেছেন কুন্তল এবং শান্তনু। সেখানে তাঁদের মধ্যে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা হয়ে থাকতে পারে বলে অনুমান ইডির। তাই ওই বৈঠক সম্বন্ধে বিস্তারিত জানতে সিসিটিভি ফুটেজ চেয়ে পাঠানো হয়েছে।
সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে নিয়োগ দুর্নীতিতে কুন্তল এবং শান্তনুর যোগাযোগ সম্পর্কে আরও তথ্য ইডির হাতে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কফিশপে গিয়ে তাঁদের মধ্যে কোনও টাকার লেনদেন হয়েছে কি না, তা-ও ফুটেজ দেখে বোঝার চেষ্টা করবেন তদন্তকারীরা। এর ফলে তদন্তে সুবিধা হতে পারে। তবে কোন তিন কফিশপে কুন্তল আর শান্তনু দেখা করতেন, তদন্তের স্বার্থে আপাতত তা গোপন রাখতে চাইছে ইডি। একইসঙ্গে, কফিশপগুলিতে পুরনো সিসিটিভি ফুটেজের ব্যাকআপ থাকবে কিনা তা নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে।
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের তদন্তে নেমে কুন্তলকে আগেই গ্রেফতার করেছিল ইডি। অপর এক ধৃত তাপস মণ্ডলের বয়ানে শান্তনুর নাম উঠে আসে। তার পর গত ২০ জানুয়ারি শান্তনুর বাড়ি এবং কুন্তলের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। শান্তনুকে একাধিক বার জিজ্ঞাসাবাদ করার পর অবশেষে শুক্রবার গ্রেফতার করা হয়। অভিযোগ, তাঁর বয়ানে অসঙ্গতি ছিল।
শান্তনু অবশ্য দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বার বার। মঙ্গলবারও আদালতে যাওয়ার পথে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের মুখে শান্তনু দাবি করেন, তিনি এ সবের সঙ্গে যুক্ত নন। বরং আসল ‘মাস্টারমাইন্ড’ কুন্তলই। তিনি মিথ্যা অভিযোগ এনে তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন।
মঙ্গলবারই কুন্তল এবং শান্তনুকে একযোগে বহিষ্কার করেছে তৃণমূল। দুপুর তিনটে নাগাদ একটি সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলের তরফে দলের মুখপাত্র তথা রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা এই ঘোষণা করেন। জানান, দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত কাউকেই দল রেয়াত করবে না।