—ফাইল চিত্র।
বাজারে কাঁচা আনাজের দাম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি, টাস্ক ফোর্স গঠন করে দাম নিয়ন্ত্রণের বিষয়টা দেখার নির্দেশও দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশ পাওয়ার পরেই কলকাতা-সহ রাজ্যের সব জেলার কোনও না কোনও বাজারে প্রতি দিন হানা দিচ্ছেন টাস্ক ফোর্সের সদস্যেরা। কথা বলছেন ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে। কেন দাম বাড়ছে আনাজপাতির তা জানার চেষ্টা করছেন। দাম কমানোর নির্দেশও দিচ্ছেন। কিন্তু ক্রেতাদের একাংশের দাবি, টাস্ক ফোর্স অভিযান চালাচ্ছে ঠিকই, কিন্তু দামের তেমন হেরফের হচ্ছে না। কিছু সব্জির দাম কমলেও অধিকাংশই আকাশছোঁয়া।
উত্তরবঙ্গের কোচবিহারে বিভিন্ন বাজারে প্রতি দিনই হানা দিচ্ছে জেলা টাস্ক ফোর্স। বাজার পরিদর্শন করছে তারা। বিশেষ করে যে হাট থেকে দোকানদারেরা কাঁচা আনাজ কিনে বাজারে বিক্রি করেন সেই সমস্ত হাটগুলোতে নিয়মিত নজরদারি চালানো হচ্ছে। তবে তার পরও সব্জির দামে তেমন হেরফের হয়নি। শুক্রবারও হাট এবং বাজারে ঘুরেছেন টাস্ক ফোর্সের সদস্যেরা। ক্রেতাদের দাবি, দাম কমেছে কিছু সব্জির। যেমন বেগুন, ঝিঙে, ঢেঁড়স, কাঁচালঙ্কা— এই সব আনাজের দাম কেজিপ্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা করে কমেছে। তবে আলু আর পেঁয়াজের দাম একই রয়েছে।
অন্য দিকে, বাদুড়িয়া, হাসনাবাদ, বসিরহাটের বিভিন্ন বাজারে প্রায় প্রতি দিনই টাস্ক ফোর্সের আধিকারিকেরা অভিযান চালাচ্ছেন। সঙ্গে কখনও পুলিশও থাকছে। ক্রেতাদের দাবি, অধিকাংশ বাজারে দু’-এক দিন সবজির দাম কিছুটা হলেও কমেছিল। তবে কিছু কিছু সব্জির দাম আবারও অল্প বেড়েছে। কিছু সব্জির দাম গত দু’দিনে কোনও পরিবর্তন হয়নি। যেমন চন্দ্রমুখী বা জ্যোতি আলুর দাম আগে ছিল যথাক্রমে ৪৩ এবং ৩৫ টাকা কেজি। তবে অভিযানের পর সেই দাম কমে দাঁড়ায় যথাক্রমে ৪০ এবং ৩০ টাকায়। কিন্তু শুক্রবার দাম আবার চার-পাঁচ টাকা করে বেড়েছে। পাশাপাশি, উচ্ছে, টম্যাটো, ক্যাপসিকামের মতো সব্জির দাম আগের থেকে অনেকটাই কমেছে।
তবে পশ্চিম বর্ধমানের একাধিক বাজারের সব্জির দাম এখনও আগুন। ক্রেতাদের কথায়, অভিযান চলছে রোজই। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। সব্জি কিনতে গেলে হাতে ছেঁকা লাগছে। কবে দাম কমবে, তা নিয়ে চিন্তায় ক্রেতারা।