নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাপস মণ্ডল, কুন্তল ঘোষ এবং নীলাদ্রি ঘোষকে হেফাজতে নিল সিবিআই। ছবি: প্রতীকী
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত তাপস মণ্ডল, কুন্তল ঘোষ এবং নীলাদ্রি ঘোষকে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে পাঠাল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার বিশেষ আদালত। তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের ‘ঘনিষ্ঠ’ তাপস এবং নীলাদ্রিকে রবিবার রাতে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। কুন্তলকে আগেই গ্রেফতার করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এই প্রথম তাঁকে হেফাজতে নিল সিবিআই। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বাকি ধৃত কৌশিক ঘোষ, শেখ আলি ইমাম, আবদুল খালেক, শহিদ ইমামকে ২ মার্চ পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
তাপসকে জেরা করেই ইডির আধিকারিকেরা প্রথমে হুগলির যুব তৃণমূল নেতা কুন্তলের সন্ধান পান। তদন্তকারীদের জেরার মুখে তাপস দাবি করেছিলেন যে, ৩২৫ জন শিক্ষক পদপ্রার্থীর কাছ থেকে ৩ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা নিয়েছেন কুন্তল। সিবিআই সূত্রের খবর, তাপস এ-ও দাবি করেন যে, পরিচিতেরা তাঁকে জানিয়েছেন, তাঁদের কাছ থেকেও প্রায় সাড়ে ১৯ কোটি টাকা নিয়েছেন কুন্তল।
এর পর কুন্তলকে দু’দফায় সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তদন্তে নামে ইডি-ও। জেরায় কুন্তল জানান, তাঁর সন্তানকে অপহরণের হুমকি দিয়েছিলেন তাপস। তিনি এ-ও দাবি করেন, তাপস তাঁর কাছে ঘুষ চেয়েছিলেন। তিনি সেই টাকা না দেওয়ায় তাঁকে ‘ফাঁসিয়ে’ দেওয়া হয়েছে। গোপাল দলপতি নামে এক ব্যক্তির দিকেও আঙুল তুলেছিলেন কুন্তল। জানিয়েছিলেন এই গোপালই ‘আসল লোক’। পাশাপাশি, মানিক-‘ঘনিষ্ঠ’ তাপস এবং গড়িয়ার ব্যবসায়ী নীলাদ্রির বিরুদ্ধেও টাকা নেওয়ার অভিযোগ তোলেন কুন্তল। রবিবার সেই নীলাদ্রিকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।