জয়পুরে নাবালিকার দেহ উদ্ধার। ছবি: সংগৃহীত
বাড়ি থেকে অন্য মহিলার সঙ্গে বিয়ে ঠিক করে দেওয়ার কারণে ঝগড়া। পরে প্রেমিকাকে শ্বাসরোধ করে খুন। এই ঘটনায় রয়েছে নিক্কিকাণ্ডের ছায়া। এক মাস আগে রাজস্থানের জয়পুরে এই ঘটনাটি ঘটে। তল্লাশির পর রবিবার খুনের দায়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে জয়পুর পুলিশ। দেহ লোপাট করতে সহযোগিতা করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তাঁর ভাইকেও।
১৭ জানুয়ারির ঘটনা। প্রতাপনগরের বাসিন্দা ২৩ বছর বয়সি কমল তাঁর ১৬ বছর বয়সি প্রেমিকাকে নিজের ভাড়াবাড়িতে ডাকেন। নাবালিকা একাদশ শ্রেণির পড়ুয়া বলে পুলিশ সূত্রে খবর। প্রেমিকাকে বাড়িতে ডেকে কমল জানান যে, তাঁর বাড়ি থেকে অন্য মহিলার সঙ্গে বিয়ে ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। বিয়ের কথা শোনার পর দু’জনের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। তার পর কমল তাঁর নাবালিকা প্রেমিকার গলায় ওড়না জড়িয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন বলে অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে খবর, খুন করার পর আলওয়ারের নীমরানায় পালিয়ে যান কমল।
বাড়ি ফিরে না আসায় পরের দিন প্রতাপনগর থানায় কমলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন নাবালিকার পরিবারের সদস্যরা। নাবালিকার নিখোঁজ হওয়ার নেপথ্যে কমলের হাত রয়েছে বলে পুলিশকে জানায় তার পরিবার। অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর থানার তরফে বিভিন্ন তদন্তকারী দল গঠন করা হয়। ১ ফেব্রুয়ারি জয়পুরের কানোতা বাঁধের কাছে মাটির তলা থেকে খুঁড়ে বের করা হয় এক নাবালিকার মৃতদেহ। শনাক্ত করে পুলিশ জানতে পারে যে, এই মৃতদেহটি ওই নাবালিকার। তার পর আট জন সদস্যের একটি দল গঠন করে তল্লাশি শুরু করে প্রতাপনগর নগর থানার পুলিশ।
কিছু দিন আগে কমল এবং তাঁর ভাই রবির খোঁজ পাওয়ায় রবিবার মানসরোবর থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন কমল তাঁদের জানান যে, প্রেমিকাকে শ্বাসরোধ করে মারার পর তাঁর দেহ লোপাট করতে কমলকে সাহায্য করেছিলেন রবি। নাবালিকার মৃতদেহ চাদরে মুড়ে বাইকে চেপে দু’জনে কানোতা বাঁধে পৌঁছন। সেখানে মাটি খুঁড়ে মৃতার দেহ পুঁতে ফেলেছিলেন কমল এবং রবি।
কমলের দাবি, এক বছর আগে কর্মসূত্রে প্রতাপনগরে এসেছিলেন তিনি। তাঁর আসল বাড়ি জয়পুরের চাঁদওয়াজি গ্রামে। নাবালিকার বাড়ির কাছে একটি কাফেতে কাজ করতেন কমল। সেই সূত্রেই দু’জনের আলাপ জমে ওঠে এবং সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা।
সম্প্রতি এমনই এক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, ৯ এবং ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যবর্তী রাতে গাড়ির ভিতরে মোবাইল ফোনের ডেটা কেবলের তার নিক্কির গলায় পেঁচিয়ে তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন সাহিল। ধাবার ফ্রিজে ভরে দেওয়া হয় সেই দেহ। এর পর হাত-মুখ ধুয়ে ধোপদুরস্ত বিয়ের পোশাকে অন্য মহিলাকে বিয়ে করতে বেরিয়ে যান তিনি।