রওনা: তপনের সঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক অসীম ঘোষ ও ব্লক কোষাধ্যক্ষ বাপ্পা সরকার। নিজস্ব চিত্র
বিধায়ক পদে শপথ নেওয়ার ডাক পেলেন কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধি তপন দেবসিংহ। তিনি জানিয়েছেন, সোমবার সকালে রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম তাঁকে ফোন করেছিলেন। তপনকে মঙ্গলবার বেলা ১১টার আগে বিধানসভা ভবনে হাজির হতে বলা হয়েছে। তপন বলেন, ‘‘মঙ্গলবার বেলা ১১টা নাগাদ বিধানসভা ভবনে নবনির্বাচিত বিধায়কদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শুরু হবে বলে পুরমন্ত্রী ফোনে জানিয়েছেন।’’
পুরমন্ত্রীর কাছ থেকে ওই বার্তা পাওয়ার পরে এ দিন সন্ধ্যায় কালিয়াগঞ্জ থেকে রাধিকাপুর এক্সপ্রেসে কলকাতায় রওনা দেন তপন। তৃণমূল সূত্রে খবর, তাঁর সঙ্গে কলকাতায় গিয়েছেন দলের রাজ্য সম্পাদক অসীম ঘোষ, কালিয়াগঞ্জ ব্লক তৃণমূলের কোষাধ্যক্ষ বাপ্পা সরকার। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অসীম, বাপ্পা কালিয়াগঞ্জের বিধানসভা উপনির্বাচনে তপনের সমর্থনে প্রচারে অন্যতম দায়িত্ব পালন করেছেন।
অসীমের কথায়, ‘‘কালিয়াগঞ্জের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে আমি তপনবাবুকে রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী ও তৃণমূলের রাজ্য নেতাদের সঙ্গে দেখা করিয়ে পরিচয় করিয়ে দেব।’’
রবিবার কালিয়াগঞ্জে কৃতজ্ঞতা সভায় যোগ দিয়ে তৃণমূলের উত্তর দিনাজপুর জেলা পর্যবেক্ষক তথা রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী বিধায়ক হিসেবে তপনকে কালিয়াগঞ্জে জনসংযোগ বাড়ানোর নির্দেশ দিয়ে গিয়েছিলেন। রাজনৈতিক রং-বিচার না করে কালিয়াগঞ্জের বাসিন্দাদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান ও তাঁদের পাশে থাকার নির্দেশও দেন পরিবহণমন্ত্রী।
তৃণমূল সূত্রে খবর, শুভেন্দুর ওই নির্দেশের পরেই সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তপন একাই কালিয়াগঞ্জ শহর ও লাগোয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে তাঁর পরিচিত ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের সঙ্গে দেখা করে কথা বলেন। তাঁর বক্তব্য, কালিয়াগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সহকারি সভাপতি হিসেবে দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর সঙ্গে কালিয়াগঞ্জের নানা এলাকার বাসিন্দাদের জনসংযোগ ছিলই। বিধায়ক নির্বাচিত হওয়ার পর সেই এলাকা বেড়ে গিয়েছে। তাই এ বার সেখানেও জনসংযোগের উপরে বেশি জোর দিয়েছেন।
এ দিকে, গত শনিবার কালিয়াগঞ্জ থানার তরফে তপনকে বিধায়ক হিসেবে নিরাপত্তারক্ষী নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। তপনের কথায়, ‘‘আমি নিরাপত্তারক্ষী নেব না বলে পুলিশকে জানিয়ে দিয়েছি। নিরাপত্তারক্ষী নিলে মানুষের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হবে। তা ছাড়া আমার কোনও শত্রু নেই। দলমত নির্বিশেষে কালিয়াগঞ্জের সাধারণ মানুষই আমাকে নিরাপত্তা দেবেন।’’