হাসপাতালে আহতদের সঙ্গে কথা বলছেন শুভেন্দু অধিকারী। — নিজস্ব চিত্র।
ঘূর্ণিঝড়ে জখমদের দেখতে গিয়ে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের স্বাস্থ্য পরিষেবার প্রশংসা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে তাঁর কিছু অভিযোগও রয়েছে। সে সব কথা ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলিতে গিয়ে জানাবেন বলে জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা
বিপর্যয়ের খবর শুনে রবিবার রাতেই জলপাইগুড়িতে চলে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঝড়ে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে রাতেই তিনি গিয়েছিলেন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। কথা বলেছিলেন আহতদের সঙ্গে। সোমবার দুপুরে সেই হাসপাতালে গেলেন শুভেন্দুও। প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে থাকা জখমদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। বেরোনোর সময় বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, নার্সরা খুবই ভাল কাজ করছেন। সারা রাত জেগে তাঁরা কাজ করছেন।’’ পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলিকে সাহায্যের কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেছেন শুভেন্দু। জানান, তিনি ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলিতেও যাবেন। সেখানে গিয়ে অভিযোগের কথা জানাবেন। শুভেন্দু বলেন, ‘‘অভিযোগের কথা হাসপাতালে দাঁড়িয়ে বলব না। হাসপাতাল সাইলেন্স জ়োন। যা বলার গ্রামে গিয়ে বলব’’
রবিবার বিকেলে জলপাইগুড়ির বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব চলেছে। মৃত্যু হয়েছে পাঁচ জনের। গুরুতর জখম হয়ে অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি। এই পরিস্থিতিতে রবিবার রাতে রাত সাড়ে ৯টায় বিমানে বাগডোগরা রওনা দেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গী মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। পৌঁছনোর পরেই মমতা মৃতদের পরিবার এবং আহতদের সঙ্গে দেখা করতে যান। জলপাইগুড়ির সেনপাড়ার কালীতলা রোডে মৃত দ্বিজেন্দ্রনারায়ণ সরকার এবং পাহাড়পুরে মৃত অনিমা বর্মণের বাড়িতে যান তিনি। পরে সেনপাড়া থেকে রওনা হন জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। তার পর সেখান থেকে রাত আড়াইটে নাগাদ জলপাইগুড়ির মালবাজারের চালসার একটি হোটেলে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী।