—ফাইল চিত্র।
নন্দীগ্রামের ভুতার মোড়ে শুভেন্দু অধিকারীর মিছিলে পা মেলাতে আসার পথে মঙ্গলবার আক্রমণের মুখে পড়েছিলেন এক দল বিজেপি সমর্থক। আগের সপ্তাহের বুধবার শুভেন্দুর গড় কাঁথিতে বিশাল জমায়েত করে রীতিমতো চমকে দিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম এবং সৌগত রায়। এই দুই ঘটনাকে যেন চ্যালেঞ্জ জানাতে নতুন বছরের প্রথম দিনটিকেই বেছে নিয়েছেন শুভেন্দু।
তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা শুক্রবার যখন দলের জন্মদিন পালনে ব্যস্ত থাকবেন, ঠিক সেই সময় পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম এবং কাঁথিতে জোড়া সভা করবেন শুভেন্দু। শুক্রবার সকাল ১১টা নাগাদ তাঁর প্রথম সভা নন্দীগ্রামের সোনাচূড়ায়। এই সোনাচূড়া থেকেই বাসে করে বজরং পুজো দেখতে যাওয়ার পথে তৃণমূলের হামলার মুখে পড়েছিলেন বলে অভিযোগ করেছিলেন শুভেন্দু অনুগামীরা। সেই সমস্ত আহত মানুষদের পাশাপাশি এলাকার প্রায় ৫ হাজার সমর্থকদের নিয়ে সোনাচূড়ায় সভা করবেন শুভেন্দু।
আরও পড়ুন: ‘পুত্র’ শুভেন্দুর সঙ্গে বিধানসভায় লড়তে তৈরি হচ্ছেন ‘নন্দীগ্রামের মা’
আরও পড়ুন: অপসারণকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে কনিষ্ঠ অধিকারী
এ রাজ্যে বাম শাসনকালে নন্দীগ্রামে জমি আন্দোলনের সময় ২০০৭ সালের প্রায় গোটা বছর ধরেই উত্তপ্ত হয়েছিল এই সোনাচূড়া। নন্দীগ্রাম আন্দোলনের কেন্দ্রভূমি বলে পরিচিত সোনাচূড়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় দাঁড়িয়ে তৃণমূলকে কড়া চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেবেন শুভেন্দু— তেমনই দাবি করেছেন তাঁর অনুগামীরা। অন্য দিকে, গত বুধবার কাঁথির ডরমেটরি মাঠে বিশাল জমায়েত করেছিল তৃণমূল। ওই সভা থেকেই কাঁথির অধিকারী পরিবারের মেজ ছেলে শুভেন্দুকে জোরদার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন ফিরহাদ এবং সৌগত। এ বার সেই জায়গাতেও সভা করে শুভেন্দু বড়সড় চমক দিতে চলেছেন বলে দাবি স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের।
বিজেপি-র অন্দরের খবর, এই সভায় গিয়েই দাদা শুভেন্দুর হাত ধরে ছোট ভাই সৌম্যেন্দুও বিজেপি-তে যোগ দিতে পারেন। সৌম্যেন্দু যদিও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে শাসকদলের প্রতিষ্ঠা দিবসে তৃণমূলের অধুনা প্রাক্তনের জোড়া সভা ঘিরেই চড়ছে উত্তেজনার পারদ!