বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ফাইল চিত্র।
উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে প্রথম দিনই পুলিশকে সিবিআইয়ের ভয় দেখালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একই সঙ্গে তিনি দাবি করলেন, দিল্লিতে তাঁর পরিচয় বাড়ছিল বলেই তাঁকে তৃণমূল নেত্রী সরিয়ে রাজ্যে নিয়ে আসেন। তৃণমূলের তরফে অবশ্য এই দাবি খারিজ করে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে বলা হয়, হারের ভয় পাচ্ছেন বলেই শুভেন্দু সিবিআইয়ের ভয় দেখাচ্ছেন।
তৃণমূলে থাকাকালীন দীর্ঘদিন মুর্শিদাবাদের দায়িত্বে ছিলেন শুভেন্দু। মঙ্গলবার তিনি সেখানে সভা করেন বিজেপি প্রার্থীর প্রচারে। এই সভা থেকে শুভেন্দু দাবি করেন, ‘‘দিল্লিতে রাজনীতি করতে গেলে পরিচয় বাড়ে। আমারও দিল্লিতে (তৃণমূল সাংসদ থাকাকালীন) পরিচয় বাড়ছিল। তাই তৃণমূল নেত্রী আমায় দিল্লি থেকে নিয়ে আসেন।’’ তৃণমূল সূত্রে বলা হয়েছে, ২০১৬ সাল পর্যন্ত তমলুকের সাংসদ ছিলেন শুভেন্দু। সে বছরই দলীয় নেতৃত্ব তাঁকে নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করেন। জেতার পরে একাধিক দফতরের দায়িত্ব পেয়েছিলেন শুভেন্দু। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘মজার কথা হল, মমতাদি যখন ওঁকে মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়ার কথা বলছেন, তখন কিন্তু এ নিয়ে টু শব্দটি শোনা যায়নি শুভেন্দুর মুখে। বরং নিজের সাংসদ পদে ভাইকে প্রার্থী করে কী ভাবে মন্ত্রিসভায় আসা যায়, উনি তাতেই ব্যস্ত ছিলেন।’’
শুভেন্দু এ দিন মুর্শিদাবাদের পুলিশ-প্রশাসনকেও হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, ‘‘শমসেরগঞ্জে বিধানসভা উপনির্বাচনে পুলিশ যা যা করেছে, তা যেন এখানে না করে। মুর্শিদাবাদ জেলায় এমন ওসি, আইসি, পুলিশ অফিসার নেই, যিনি একবার করে নিজ়াম প্যালেস ঘুরে আসেননি। এই কথাটা মনে রেখে কাজ করবেন।’’ ঘটনাচক্রে, নিজ়াম প্যালেসে সিবিআইয়ের দফতর রয়েছে।
তৃণমূল পাল্টা প্রশ্ন তুলেছে, ভোট প্রচারে এসে এই ধরনের হুঁশিয়ারি দেওয়া কি নির্বাচনী বিধিভঙ্গ নয়? কুণাল ঘোষ আরও বলেন, ‘‘নির্বাচনে জেতার সব চেষ্টা ছেড়ে দিয়েছে বিজেপি। সেই হতাশায় পুলিশকে এজেন্সির ভয় দেখাতে চেয়েছেন শুভেন্দু।’’ তাঁর কথায়, ‘‘কিন্তু ভোট তো দেবেন সাগরদিঘির সাধারণ মানুষ। আর তাতে কী ফল হতে পারে, উনি তা ভালই জানেন।’’