অভিষেককে ৪৮ ঘণ্টা সময় দিয়ে উপযুক্ত আইনি পদক্ষেপ করবেন বলে শুক্রবার আইনজীবীর মাধ্যমে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শুভেন্দু।
‘তোলাবাজ ভাইপো’ বলায় শুভেন্দু অধিকারীকে আগেই আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেককে পাল্টা আইনি নোটিস পাঠালেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু। ক্ষমা চাইবার জন্য শুভেন্দুকে ৩৬ ঘণ্টা সময় দিয়েছিলেন অভিষেকের আইনজীবী। সে পথে না হেঁটে অভিষেককে ৪৮ ঘণ্টা সময় দিয়ে উপযুক্ত আইনি পদক্ষেপ করবেন বলে শুক্রবার আইনজীবীর মাধ্যমে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শুভেন্দু।
মেদিনীপুরে অমিত শাহের সভায় বিজেপিতে যোগ দিয়ে ওই মঞ্চ থেকেই শুভেন্দু স্লোগান তুলেছিলেন, ‘তোলাবাজ ভাইপো’ হঠাও। তবে অভিষেকের নাম করেননি তিনি। এর পরে একাধিক সভায় অভিষেক হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ‘‘ভয়ে তাঁর নাম নিতে পারেন না কেউ। তাই ‘তোলাবাজ ভাইপো’ বলেন।" এর পর শুভেন্দু বিজেপি-র একটি সমাবেশে রীতিমতো নাম করে বলেন, ‘‘তোলাবাজ ভাইপো অভিষেক হঠাও।’’ তার পরেই আইনি পদক্ষেপ করেন অভিষেক। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি কুলতলির সভা থেকে শুভেন্দুর নাম করে পাল্টা 'তোলাবাজ', 'ঘুষখোর', 'মীরজাফর' বলে আক্রমণ করেন অভিষেক। এ বার সেই মন্তব্যকে কেন্দ্র করেই শুরু হল অভিষেক বনাম শুভেন্দুর আইনি লড়াই। অভিষেকের ওই সব মন্তব্যে তাঁর মক্কেলের মানহানি হয়েছে বলে আইনি নোটিসে লিখেছেন শুভেন্দুর আইনজীবী সৌম্যেন্দু মুখোপাধ্যায়।
তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারলে তিনি ফাঁসির মঞ্চে গিয়ে মৃত্যুবরণ করবেন বলেও কুলতলির সমাবেশে মন্তব্য করেছিলেন অভিষেক। শুভেন্দুর আইনজীবী সেই প্রসঙ্গও রেখেছেন নোটিসে। বলা হয়েছে, ফাঁসির মঞ্চে গিয়ে মৃত্যুবরণ করা আসলে আত্মহত্যার চেষ্টা যা মানসিক স্বাস্থ্য আইন অনুযায়ী চিকিৎসাযোগ্য এবং ফৌজদারি আইন অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ। এই ব্যাপারে সাংসদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার পাশাপাশি এ বিষয়ক আইন না জানার জন্য তাঁকে নোটিসের সঙ্গে কিছু আইনের বইয়ের সফট কপি সৌজন্যমূলক ভাবে পাঠানো হচ্ছে বলেও লেখা হয়েছে নোটিসে। একই সঙ্গে শুভেন্দুর আইনজীবী লিখেছেন, তাঁর মক্কেল অভিষেকের সুস্থতা কামনা করেন।
কুলতলির সমাবেশে অভিষেক সিবিআই-কে লেখা সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেনের একটি চিঠির উল্লেখ করেন। একই সঙ্গে সেই চিঠির বয়ান অনুসারে শুভেন্দুকে আক্রমণ করেন তাঁর বক্তব্যে। সেই সব বক্তব্য উল্লেখ করে শুভেন্দুর আইনজীবী নোটিসে লিখেছেন, না জেনেই বিচারাধীন মামলা নিয়ে মন্তব্যের মাধ্যমে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। যা আদালত অবমাননার শামিল। ওই চিঠির ব্যাপারে তদন্তের জন্য সিবিআই-কে গত ১০ ডিসেম্বর শুভেন্দু চিঠি পাঠিয়েছেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে আইনি নোটিসে।