Suvendu Adhikari on Nabanna Abhijan today

নবান্ন অভিযানে ধৃতদের ছাড়াতে আইনি এবং আর্থিক সাহায্য দেব, ঘোষণা করলেন শুভেন্দু অধিকারী

মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ। তাদের বাইরে থেকে সমর্থন জানানোর কথা আগেই বলেছিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু। এ বার সরাসরি আইনি সাহায্যের কথাও জানালেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০২৪ ১২:৫৩
Share:

শুভেন্দু অধিকারী। —ফাইল চিত্র।

নবান্ন অভিযানের আহ্বায়ক ছাত্র সমাজের চার নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী পাল্টা জানালেন, যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের ছাড়ানোর ব্যবস্থা করবেন তিনি। তার জন্য যা আইনি পদক্ষেপ প্রয়োজন এবং যত অর্থ খরচ হয়, তা বহন করবেন তিনিই।

Advertisement

মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ। তাদের বাইরে থেকে সমর্থন জানানোর কথা আগেই বলেছিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু। এ বার সরাসরি আইনি সাহায্যের কথাও জানালেন তিনি। একই সঙ্গে মঙ্গলবার শুভেন্দু বলেছেন, যদি আন্দোলনকারীদের মারধর করা হয়, তবে তিনি পথে নামবেন। দরকার হলে অবরোধ করবেন।

নবান্ন অভিযানে অশান্তির আশঙ্কার কথা সোমবারই জানিয়েছিল রাজ্য পুলিশ। এ ব্যাপারে সতর্ক করে তারা এ-ও বলেছিল, নবান্ন অভিযানে সামনে মহিলা এবং ছাত্রদের রেখে পিছন থেকে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করা হতে পারে। এমনকি, পুলিশকে বলপ্রয়োগে বাধ্য করা হতে পারে বলেও জানিয়েছিলেন রাজ্য পুলিশের এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার। এর পরে সোমবার রাত থেকে ‘নিখোঁজ’ হয়ে যান নবান্ন অভিযানের আহ্বয়ক ছাত্র সমাজের চার নেতা। পরে পুলিশ জানায়, সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবেই তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এর পরই ধৃতদের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের সাহায্য করার কথা জানিয়েছেন শুভেন্দু। মঙ্গলবার সকালে গাড়িতে বিধানসভায় যাওয়ার পথে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুকে ঘিরে ধরেন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা। তাঁদের শুভেন্দু বলেন, ‘‘অন্তত ১০০ জনকে গ্রেফতার করেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ। তাঁদের আমি ছাড়াব। যা যা আইনি ব্যবস্থা দরকার, তার জন্য যা খরচ হবে সবটাই আমরা বহন করব।’’

Advertisement

শুভেন্দু জানিয়েছেন, মঙ্গলবারই কলকাতা হাই কোর্টে তাঁর আইনজীবীরা ওই মামলাটি করবে। আর মামলাটি করা হবে ‘মমতা-পুলিশ’-এর বিরুদ্ধে। শুভেন্দু বলেন, ‘‘মামলা হবে মমতা-পুলিশের বিরুদ্ধে। বিশেষ করে বিনীত গোয়েল (কলকাতা পুলিশ কমিশনার) আর রাজীব কুমার (রাজ্যপুলিশের ডিজি) এবং প্রবীণ ত্রিপাঠী (হাওড়ার পুলিশ কমিশনার)-এর বিরুদ্ধে।’’

নবান্ন অভিযানের আগে পুলিশ বেশ কিছু জায়গায় ধরপাকড় করেছে। সে প্রসঙ্গে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হলে শুভেন্দু বলেছেন, ‘‘অনেক জায়গায় গিয়েছে। শঙ্কর গুছাইত হাই কোর্টের রক্ষাকবচ পেয়েছিলেন। তাঁকেও টেনেহিঁচড়ে আটক করে নিয়ে গিয়েছে। মানুষ সব দেখছে। রাজ্য সরকার আজ ৪-৫ কোটি টাকা খরচ করেছে। ভাল ভাল রাস্তা খুঁড়েছে। এমনকি গার্ডেনরিচ থেকে কন্টেনার এনে দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে রেখেছে। এ রকম দেখেছেন কখনও? সবাই বলেছে অরাজনৈতিক মিছিল। তার পরেও এই সব। এর পরে রাজনীতির লোকেরা পথে নামলে কী করবে?’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement