নবান্ন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। —নিজস্ব চিত্র
লালবাজার অভিযানে বিজেপি। মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানে গিয়ে বহু জন আটক হয়েছেন। তাঁদের ছাড়াতে মঙ্গলবার বিকেলেই লালবাজার ঘেরাও অভিযানের ডাক দেয় বিজেপি। মিছিলে ছিলেন সুকান্ত মজুমদার, রুদ্রনীল ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায়েরা। তবে লালবাজারের অদূরে বিজেপির মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। অবস্থানে বসে পড়েন সুকান্তেরা।
বাবুঘাটে পুলিশের দু’টি মোটরবাইক জ্বালিয়ে দিলেন বিক্ষোভকারীরা। জলকামানের গাড়ি নিয়ে গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টায় পুলিশ।
বিজেপির চক্রান্ত ভেস্তে গিয়েছে বলেই ধর্মঘটের ডাক। পাল্টা দিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তাঁর দাবি, বুধবার জনজীবন অন্য দিনের মতোই স্বাভাবিক থাকবে।
ছাত্রসমাজের পাশে দাঁড়াতে বুধবার রাজ্যব্যাপী ১২ ঘণ্টা বন্ধের ডাক দিল বিজেপি। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক ডেকে বাংলা বন্ধের কথা ঘোষণা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। জানালেন, বুধবার সকাল ছ’টা থেকে সন্ধ্যা ছ’টা পর্যন্ত চলবে ‘সাধারণ ধর্মঘট’।
তিন ঘণ্টা পরেও বিক্ষিপ্ত অশান্তি নবান্ন অভিযানে। লাঠি, জলকামানের সাহায্যে মোকাবিলা পুলিশের।
প্রিন্সেপ ঘাটে বেশ কয়েক জন বিক্ষোভকারীকে আটক করল পুলিশ। বেশ কয়েক জনের উপরে লাঠিচার্জও করা হয়।
নবান্নের প্রায় দোরগোড়ায় পৌঁছে গেলেন বিক্ষোভকারীদের একাংশ। হাওড়ার শরৎ চ্যাটার্জি রোডে বিক্ষোভকারীদের আটক করল পুলিশ। মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ব্যবহার করা হল কাঁদানে গ্যাসের শেল।
নতুন করে উত্তেজনা হেস্টিংসে। পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোড়া হল ইট। পাল্টা কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা পুলিশের। হেস্টিংসে উপস্থিত ব্যারাকপুরের প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ এবং দলের আইনজীবী নেতা কৌস্তভ বাগচী।
বিক্ষোভকারীদের ছোড়া ইটের ঘায়ে আহত হয়েছেন চণ্ডীতলার এক সার্কল ইনস্পেক্টর (সিআই)। হাওড়া ময়দানে পুলিশকে তাড়া বিক্ষোভকারীদের একাংশের। পুলিশকে রাস্তায় ফেলে মারধর করার অভিযোগ।
হাওড়ার ফোরশোর রোডে নতুন করে উত্তেজনা। ফের পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা প্রতিবাদীদের। পাল্টা লাঠিচার্জ পুলিশের। ব্যবহার করা হচ্ছে জলকামানও।
মহাত্মা গান্ধী রোডে পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা। জলকামান ছুড়ছে পুলিশ।
ছবি: সারমিন বেগম
কলকাতার পুলিশ ট্রেনিং স্কুল (পিটিএস)-এর কাছেও বিক্ষোভকারীদের আটকাতে জলকামান চালাচ্ছে পুলিশ।
হাওড়া সেতুতে জাতীয় পতাকা হাতে এক বিক্ষোভকারী। —নিজস্ব চিত্র
প্রদীপ ঘোড়ুই। পূর্ব মেদিনীপুরের বাসিন্দা। নবান্ন অভিযানে এসে গ্রেফতার। ‘ছাত্র সমাজের’ নবান্ন অভিযান থাকলেও তিনি ছাত্র নন। জানালেন, তিনি একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। তাঁর কথায়, “শান্তিপূর্ণ মিছিল হচ্ছিল। কিন্তু কারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছুড়ল, তা বুঝতে পারিনি।”
নবান্ন অভিযানকে কটাক্ষ তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের। তিনি বলেন, “কিসের অরাজনৈতিক আন্দোলন? উদ্যোক্তারা নিজেরা স্বীকার করে নিয়েছেন তাঁরা আরএসএস। তার পরেও কারা এটাকে অরাজনৈতিক আন্দোলন বলছেন।”
নবান্ন অভিযান নিয়ে ফের মুখ খুললেন শুভেন্দু। বিধানসভার বাইরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “বহু জায়গা থেকে অত্যাচারের খবর আসছে।” তার পরেই রাজ্য পুলিশ এবং কলকাতা পুলিশকে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে দমনপীড়ন না চালানোর আর্জি জানান বিরোধী দলনেতা। অন্যথায়, বুধবার ‘রাজ্য স্তব্ধ করে দেওয়ার’ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
ব্যারিকেডের উপরে উঠে স্লোগান দিচ্ছেন বিক্ষোভকারীরা। মিছিল এবং জমায়েত থেকেও স্লোগান উঠছে, “দাবি এক, দফা এক, মমতার পদত্যাগ।” বিক্ষোভকারীদের অনেকের হাতে থাকা কালো পোস্টারেও রয়েছে এই স্লোগান। কারও কারও হাতে রয়েছে জাতীয় পতাকা। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে তাঁরা নবান্নে যেতে চান। কিন্তু পুলিশ তাদের বাধা দিচ্ছে।
—নিজস্ব চিত্র
নতুন করে উত্তেজনা সাঁতরাগাছিতে। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছুড়ছেন বিক্ষোভকারীরা। ইটের আঘাতে আহত হয়েছেন কয়েকজন পুলিশকর্মী। সাঁতরাগাছি স্টেশনে থমকে গেল ট্রেন চলাচল।
বিক্ষোভকারীদের ছোড়া ইটে সাঁতরাগাছিতে মাথা ফাটল র্যাফের এক জনের। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে।
হাওড়া সেতুতেও পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা বিক্ষোভকারীদের। ব্যারিকেডের একাংশ ভাঙতেই জলকামান চালানো শুরু করল পুলিশ। ব্যবহার করা হচ্ছে কাঁদানে গ্যাসও। চলছে লাঠিচার্জ। পুলিশের ত্রিমুখী আক্রমণে ছত্রভঙ্গ বিক্ষোভকারীরা।
হাওড়া সেতুতে চলছে জলকামান। —নিজস্ব চিত্র