তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি পূর্ব মেদিনীপুরে ১৬ টির মধ্যে তিনটি বিধানসভা আসনে হার লজ্জার-এমনই মন্তব্য করলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা যুব তৃণমূলের আয়োজনে সোমবার মেচেদায় দলীয় বিধায়কদের সংবর্ধনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই শুভেন্দু বলেন, ‘‘এ বার আমরা জেলার সব আসনে জিততে পারিনি, এটা লজ্জার। তবে আমরা সেখান থেকে শিখে আগামীদিনে যে ফাঁক রয়েছে তা পূরণের চেষ্টা করব।’’ তাঁর দাবি, ‘‘রাজ্যে তৃণমূল মোট ৪৬ শতাংশ ভোট পেয়েছে। আমাদের পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ৫১ শতাংশ ভোট পেয়েছে।’’
২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জেলার মোট ১৬ টি বিধানসভা আসনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছিল তৃণমূল। আর ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তমলুক, হলদিয়া ও পূর্ব পাঁশকুড়া বিধানসভা কেন্দ্রে হার হয়েছে শাসক দলের। এই ফলাফলের জেরে দলের একাংশ নেতার ভূমিকা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরেই প্রশ্ন উঠেছে। হলদিয়া বিধানসভা এলাকায় ইতিমধ্যে দলের একাংশ নেতার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এ দিনের সভায় কারও নাম না করে শুভেন্দু বলেন, ‘‘এখানে যে দু-একটি হার হয়েছে তা দিদির (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের) জন্য নয়। হার হয়েছে আপনাদের জন্য। তবে সিপিএমকে আর মাথা তুলতে দেব না। আগামী দিনে আমরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে লড়াই করব।’’ ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি মধুরিমা মণ্ডল, যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি আনিসুর রহমান প্রমুখ।
এ দিনই নন্দীগ্রামের রেয়েপাড়া বিএড কলেজে প্রোগ্রেসিভ ভেটেরিনারি ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের এক অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন শুভেন্দু। সেখানে চাকরিতে নয়, স্বনির্ভরতা প্রকল্পে বেকার যুবক যুবতীদের মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। শুভেন্দুর কথায়, ‘‘সরকার সবাইকে চাকরি দিতে পারবে না। তাই স্বনির্ভরতায় মন দিতে হবে বেকারদের। প্রাণিসম্পদ বাড়াতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বিজ্ঞানসম্মতভাবে প্রাণীসম্পদ বৃদ্ধির মাধ্যমে স্বনির্ভর হয়ে ওঠা সম্ভব।” পরিবহণ মন্ত্রী এ দিন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে ১২০ জনকে ১০টি করে মুরগির বাচ্চা এবং ১২০ জন দুঃস্থ ছাত্রছাত্রীকে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ করেন।