শুভেন্দু অধিকারী। —ফাইল চিত্র।
মিড-ডে মিলে দুর্নীতির ঘটনায় সিবিআই তদন্তের সুপারিশকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সরব হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এ বার জোড়া দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্য সরকার তথা শাসক দলের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন তিনি। পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) আধিকারিক বদলি ও কোভিডের সময়ে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন তিনি। তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্য এই অভিযোগ উড়িয়ে পাল্টা আঙুল তুলেছে তাঁর দিকেই।
পিএসসি-র পাঁচ আধিকারিকের বদলির সিদ্ধান্ত নিয়ে শনিবার তোপ দেগেছেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর এক্স হ্যান্ড্লে (পূর্বতন টুইটার) বদলি সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা পোস্ট করে শুভেন্দু লেখেন, ‘রাজ্যের কয়েক জন প্রভাবশালী ব্যক্তির নির্দেশে পিএসসি-তে ব্যাপক দুর্নীতি হচ্ছে। বদলি করে সেই দুর্নীতি চাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে’। তাঁর অভিযোগ, ‘এই বদলি প্রতিহিংসামূলক। ভারতের সংবিধান অনুযায়ী পিএসসি একটি স্বশাসিত এবং স্বাধীন সংস্থা। রাজ্য সরকারের এই নির্দেশিকার ফলে তাদের স্বাধিকার ক্ষুণ্ণ হয়েছে’। তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘অবিলম্বে এই নির্দেশিকা প্রত্যাহার না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে’। প্রশাসনিক স্তরে এই বিষয়ে কোনও বক্তব্য জানা যায়নি। তবে বিরোধী দলনেতাকে কটাক্ষ করে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘চোরেরাই সব কিছুতে চুরি দেখেন!’’
কোভিডের সময়ে পিপিই এবং অন্যান্য চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের বরাদ্দ বিপুল অর্থ তছরুপ হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু। এই অভিযোগের তদন্তের জন্য ইডি, আয়কর দফতর এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রককে চিঠি লিখেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। বাঁকুড়ার কোতুলপুরে শুভেন্দু এ দিন দাবি করেছেন, “শিক্ষা জেলে গিয়েছে, খাদ্যও জেলে গেল, এ বার স্বাস্থ্যও জেলে যাবে! পিএম কেয়ারের টাকা কী ভাবে স্বাস্থ্য দফতর ২০-২১ সালে লুট করেছে, ভারত সরকারের স্বাস্থ্যসচিবকে তার প্রমাণ-সহ জানিয়েছি। পাঁচ হাজার কোটি টাকা ভারত সরকার দিয়েছে। এক হাজার কোটি টাকা সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লোকেরা চুরি করে তাঁর কাছে পৌঁছে দিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চোর, ভাইপো চোর।” এই অভিযোগের জবাবে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ পাল্টা বলেন, ‘‘সিবিআইয়ের এফআইআর-এ নাম থাকা শুভেন্দুর মুখে এ সব কথা মানুষ শোনেন না!’’