শুভেন্দু অধিকারী। —ফাইল চিত্র।
রাজ্য পুলিশের শীর্ষ স্তরকে নিশানা করে সরব হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্য পুলিশের দক্ষতার কথা বলতে গিয়ে অতীতে বামপন্থী এবং ডানপন্থী চরমপন্থা মোকাবিলায় সাফল্যের দাবি করেছেন ডিজি রাজীব কুমার। সেই বক্তব্যকে কার্যত ‘চ্যালেঞ্জ’ করে কোন কোন সংগঠন ‘তথাকথিত ডানপন্থী চরমপন্থা’য় জড়িত, ডিজি-র কাছে তার নাম জানতে চেয়েছেন তিনি। যদিও বিষয়টিতে কোনও বিতর্ক দেখছে না শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। একই দিনে শুভেন্দু সরব হয়েছেন ওড়িশা পুলিশকে না-জানিয়ে সেখানকার বালেশ্বর নন্দীগ্রামের দুই বিজেপি কর্মীকে এ রাজ্যের পুলিশের গ্রেফতার করার ঘটনায়।
বাংলাদেশের পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে এ রাজ্যে কোনও অস্থিরতা বা জঙ্গি কার্যকলাপ রোধে পুলিশ সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিজি। তাঁর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সমাজমাধ্যমে শুভেন্দু বলেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে তথাকথিত ডানপন্থী চরমপন্থার সঙ্গে কোন কোন সংগঠন যুক্ত, তার নাম বলুন। কোনও হিংসার ঘটনার বিষয়ে তথ্য এবং তাতে দায়ী লোকজন, যাঁদের আপনি গ্রেফতার করেছেন, তাঁদের নাম বলুন!’ রাজীবকে বিঁধে বিরোধী দলনেতার আরও বক্তব্য, ‘মনে হচ্ছে আপনি জাতীয়তাবাদী সনাতনী সংগঠনের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। ঠিক যে ভাবে, সীমান্তের ও-দিকে আপনার প্রতিরূপেরা বাংলাদেশের সনাতনী সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন’। সেই সঙ্গে অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করতে ব্যর্থতা এবং পাসপোর্ট-সহ সরকারি নথি পেতে রাজ্য পুলিশ সহায়তা করছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন শুভেন্দু। রাজীবকে ‘মুখ্যমন্ত্রীর পরে সব চেয়ে শক্তিশালী পদে’ আসীন ব্যক্তি হিসেবে উল্লেখ করে বিএসএফ-কে সীমান্তে বেড়া দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকার জমি দিতে পারেনি বলেও ফের অভিযোগ তুলেছেন বিরোধী দলনেতা। যদিও বিতর্ক উড়িয়ে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের বক্তব্য, “যে সংগঠনগুলি গণতন্ত্র মানে না, রাজ্যে অস্থিরতা তৈরি করতে চেয়ে প্ররোচনা দেয়, তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের কড়া পদক্ষেপের কথা বলেছেন ডিজি। এখন পড়ল কথা সবার মাঝে, যার কথা তার গায়ে বাজে!”