শুভেন্দু অধিকারী ও মুকুল রায়। ফাইল চিত্র।
দলত্যাগ-বিরোধী আইনে মুকুল রায়ের বিধায়ক-পদ খারিজের আর্জি জানিয়ে শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হল বিজেপি। কলকাতা হাইকোর্টে সোমবার এই মর্মে আবেদন দায়ের করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মণিপুরে একটি মামলায় বিধায়কের দলত্যাগ সংক্রান্ত অভিযোগে বিধানসভাকে তিন মাসের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই দৃষ্টান্ত সামনে রাখছেন শুভেন্দুরা।
বিধানসভায় স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা শুনানিতে গত ২৩ সেপ্টেম্বর হননি মুকুল। অসুস্থতার জন্য মুকুল আসতে পারছেন না জানিয়ে স্পিকারকে চিঠি দিয়েছিলেন সরকারি মুখ্য সচেতক তথা তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক নির্মল ঘোষ। সে দিনই শুভেন্দু জানিয়েছিলেন, দসত্যাগের আর্জি নিয়ে তাঁরা আদালতে যাবেন। সেইমতো এ দিন হাইকোর্টে গিয়ে আবেদন দাখিল করেছেন তিনি। বিরোধী দলনেতার বক্তব্য, ‘‘আদালতের কাছে বিচার চেয়েছি। দলত্যাগ-বিরোধী আইন কার্যকরের আবেদন জানিয়েছি। গোটা ভারতবর্ষে সব বিধানসভায় হয়। গত ১০ বছর ধরে ৫০ জনকে এ দিক-ও দিক (দলবদল) করিয়েছে। কিন্তু এখানে ওই আইন কার্যকর হয়নি। আমরা আদালতের উপরে আস্থাশীল।’’
কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রতীকে এ বারই প্রথম বিধায়ক নির্বাচিত হন মুকুল। তার মাসদেড়েকের মধ্যেই তিনি ফিরে যান তৃণমূলে। তার পরেই তাঁর বিধায়ক-পদ খারিজের জন্য স্পিকারের কাছে আবেদন করেছিলেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর যুক্তি, তিন মাসের বেশি অপেক্ষা করেও বিধানসভায় কোনও রায় না হওয়ায় তাঁরা আদালতে গিয়েছেন। স্পিকার বিমানবাবু অবশ্য ইতিমধ্যেই বলে রেখেছেন, ‘‘আদালতে কেউ যেতেই পারেন। আইন মেনেই আমি যা পদক্ষেপ করার, করেছি।’’ কালিয়াগঞ্জের দলত্যাগী বিধায়ক সৌমেন রায়ের পদ খারিজের জন্যও স্পিকারকে চিঠি দিয়েছে বিজেপির পরিষদীয় দল।