শুভেন্দুর সঙ্গে খড়্গপুরের চার নেতা। নিজস্ব চিত্র
সরকারি মঞ্চ। তাই সরাসরি এড়িয়ে গেলেন রাজনীতির প্রসঙ্গ। তবে ছোঁয়াচ বাঁচিয়েও রবিবার খড়্গপুরে শুভেন্দু অধিকারী পরোক্ষে বিঁধলেন সেই রেলকেই।
এ দিন বিকেলে খড়্গপুর শহরের বাসস্ট্যান্ড থেকে চারটি সরকারি বাসের উদ্বোধন করেন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু। সেখানেই তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘এখানে সমস্যা কী জানেন। আমি সরকারি মঞ্চকে ব্যবহার করব না। রেল সব কাজে রাজ্য সরকারের নো অবজেকশন নেয়। পুলিশের সাহায্য নেয়। কিন্তু খড়্গপুরে আমরা রেলকে বলছি শৌচাগার দাও, বিদ্যুৎ দাও। কিন্তু রেশন কার্ড, আধার কার্ড, ভোটার কার্ড থাকা সত্ত্বেও রেল বলছে ‘নেহি হ্যোগা’। আমাদের কাউন্সিলরেরা মানুষের জন্য আলো জ্বালালে, শৌচাগার গড়লে আরপিএফ দিয়ে ভেঙে দিচ্ছে।” রেলের এমন নেতিবাচক আচরণের জন্য খড়্গপুরের উন্নতি করা যাচ্ছে না বলে শুভেন্দু দাবি করেন। সঙ্গে তিনি বলেন, “রেল যদি এই বাসস্ট্যান্ড পুরসভাকে হস্তান্তর করে দেয় তবে আমি এখানে যে বাসস্ট্যান্ড বানিয়ে দেব তা সারা রাজ্যের মধ্যে মডেল হবে।”
রেল-পুরসভা বিবাদ খড়্গপুরে নতুন নয়। শহরের রাজনীতির অনেকটাই একে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয়। শুভেন্দুও কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে এলে রেলের অসহযোগিতা প্রসঙ্গে সরব হয়। এদিনের অনুষ্ঠানে পরিবহণমন্ত্রী হিসেবেই উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু। সেই মঞ্চ থেকেও রেলের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার সুরই শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে। যদিও রেল কর্তৃপক্ষের দাবি, রেলের জমিতে বেআইনি নির্মাণ করা হলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা করা হয়। ভবিষ্যতেও তাই হবে।
সভামঞ্চ থেকে খড়্গপুর-দিঘা, খড়্গপুর-কলকাতা, খড়্গপুর-আসানসোল শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাসের উদ্বোধন করেন শুভেন্দু। সঙ্গে খড়্গপুর-তারাপীঠ রুটের একটি ডিলাক্স বাসও উদ্বোধন করা হয়। ভবন তৈরির জন্য খড়্গপুর কলেজের অধ্যক্ষ বিদ্যুৎ সামন্তের হাতে একটি ৪৫ হাজার টাকার চেক তুলে দেন পরিবহণমন্ত্রী। এছাড়াও পুরসভার মাধ্যমে শহরের প্রবেশদ্বার ওটি রোড-সহ বিভিন্ন এলাকা আলোকিত করতে পরিবহণ দফতরের বরাদ্দকৃত ৬০ লক্ষ টাকার কাজের সূচনা করেন। ওই মঞ্চেই জেলা পুলিশের উদ্যোগে পুজোর গাইড ম্যাপ প্রকাশ, মেদিনীপুরের একটি আশ্রমের মহিলাদের শাড়ি বিতরণ ও অনাথ শিশুদের বস্ত্রদান করা হয়। একইসঙ্গে এ দিন খড়্গপুরের জন্য একটি ট্রমা অ্যাম্বুলেন্স দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন পরিবহণমন্ত্রী।