বিধানসভার অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণপত্রে শুভেন্দু অধিকারীর নাম নেই বলে দাবি করেছেন বিজেপির বিধায়করা। ফাইল চিত্র।
রাজ্য বিধানসভার অনুষ্ঠানে এই প্রথম কোনও বিরোধী দলনেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। মঙ্গলবার রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ করে এমন দাবিই করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যদিও ওই অনুষ্ঠানে বিরোধী দলনেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে পাল্টা দাবি করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
আগামী শুক্রবার বিধানসভায় একটি সংগ্রহশালার উদ্বোধনের অনুষ্ঠান রয়েছে। ওই সংগ্রহশালার উদ্বোধন করার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বিজেপি পরিষদীয় দলের দাবি, ওই অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রে নাম নেই শুভেন্দুর। তাঁদের দাবি, রীতি অনুযায়ী বিধানসভার কোনও অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রে নাম থাকার কথা মুখ্যমন্ত্রী, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, পরিষদীয় মন্ত্রী ও বিরোধী দলনেতার। এ ক্ষেত্রে আমন্ত্রণপত্রে শুধু মাত্র মুখ্যমন্ত্রী ও স্পিকারের নাম রয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেন বিজেপির পরিষদীয় দলের সদস্যরা। তাঁরাই এই ঘটনার কথা জানান বিরোধী দলনেতাকে। পরে সাংবাদিকদের শুভেন্দু বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা তৈরি হওয়ার পর এই প্রথম বার কোনও অনুষ্ঠান হচ্ছে, যেখানে আমন্ত্রণপত্রে বিরোধী দলনেতার নাম ছাপানো হয়নি।’’ শুভেন্দু আরও বলেছেন যে, ১৯৫৭ সালে জ্যোতি বসু যখন বিরোধী দলনেতা ছিলেন, সেই সময় থেকে রীতি শুরু হয়েছিল যে বিধানসভার কোনও অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হবে বিরোধী দলনেতাকে। সেই রীতি এই সরকার ভাঙল বলে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন তিনি। আমন্ত্রণপত্রে শুভেন্দুর নাম ছাপানো না হওয়ায় ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন না বলে জানিয়েছেন বিজেপি বিধায়করা।
এই প্রসঙ্গে ফিরহাদ বলেন, ‘‘বিরোধী দলনেতাকে ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।’’ তবে আমন্ত্রণপত্রে কেন বিরোধী দলনেতার নাম নেই, এ নিয়ে মুখ খোলেননি।
অন্য দিকে, রাজ্যের নতুন রাজ্যপাল হিসাবে বুধবার শপথগ্রহণ করবেন সি ভি আনন্দ বোস। মঙ্গলবার দুপুরে বিজেপি বিধায়করা দাবি করেছিলেন রাজ্যপালের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র বিরোধী দলনেতার কাছে পৌঁছয়নি। আমন্ত্রণপত্র না পেলে ওই অনুষ্ঠানে তাঁরা যোগ দেবেন না বলে জানিয়েছেন। বিকেলে অবশ্য সেই আমন্ত্রণপত্র তিনি পেয়েছেন বলে জানান শুভেন্দু।