ইডি দফতরে হাজির একাধিক বেসরকারি ডিএলএড কলেজ কর্তৃপক্ষ। — ফাইল ছবি।
শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় এ বার বেসরকারি ডিএলএড কলেজগুলির কর্তৃপক্ষকে তলব করা শুরু করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। মঙ্গলবার সকালে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হন রাজ্যের একাধিক ডিএলএড কলেজের কর্তৃপক্ষ। প্রয়োজনীয় নথি নিয়ে তাঁরা এসেছেন। নিয়োগ দুর্নীতিতে কলেজ কর্তৃপক্ষের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে চাইছে ইডি, তাই এই তলব বলে জানা গিয়েছে।
ইডি সূত্রে আগেই জানা গিয়েছিল, বেসরকারি ডিএলএড কলেজগুলির কর্তৃপক্ষকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। প্রথম পর্যায়ে ৫০টি এমন কলেজের কর্তৃপক্ষকে ডেকে পাঠানোর কথাও শোনা গিয়েছিল। সেই অনুযায়ী মঙ্গলবার সকালে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সের ইডি দফতরে হাজির হন রাজ্যের একাধিক বেসরকারি ডিএলএড কলেজ কর্তৃপক্ষ।
মূলত, অফলাইন রেজিস্ট্রেশনের জন্য পড়ুয়াদের থেকে ৫ হাজার টাকা করে নেওয়ার যে অভিযোগ রয়েছে, নথি খুঁজে সে সম্পর্কিত তথ্য বার করতে চাইছে ইডি। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত তাপস মণ্ডল দাবি করেছিলেন যে, মানিকের লোকেরা এসে টাকা নিয়ে যেতেন। সত্যিই কি তাই হত, কলেজ কর্তৃপক্ষের নথি খতিয়ে দেখে বোঝার চেষ্টা করবেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
মূলত, কত জন পড়ুয়া অফলাইনে ভর্তি হয়েছিলেন, তাঁদের টাকা দিতে হয়েছিল কি না ইত্যাদির পাশাপাশি টাকা দিয়েছিলেন যাঁরা, তাঁদের কোনও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল কি না, তা-ও জানার চেষ্টা করবে ইডি, সূত্রের খবর।এ ছাড়াও রাজ্যের ৫৩০টি বেসরকারি বিএড এবং ডিএলএড কলেজ থেকে মানিকের ছেলে শৌভিক ভট্টাচার্যের সংস্থা এককালীন পঞ্চাশ হাজার টাকা করে নিয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই আর্থিক লেনদেন নিয়েও কলেজগুলির কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।