শুভেন্দু অধিকারী। —ফাইল চিত্র
নতুন নাগরিকত্বের আইনের সমর্থনে প্রদেশ বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের ‘অভিনন্দন যাত্রা’র পাল্টা জবাব দিতে তৈরি হচ্ছে তৃণমূল।
শাসকদলের তরফে জানানো হয়েছে, পাল্টা হিসেবে এ বার ডালখোলায় মিছিল করবেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী তথা উত্তর দিনাজপুরে তৃণমূলের পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী। দলে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তাতে শুভেন্দু সন্মতিও জানিয়েছেন। দলীয় সূত্রে খবর, ৩১ জানুয়ারি ডালখোলা পুরভোটের প্রস্তুতি নিয়ে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব বৈঠকে বসবেন। সেখানেই মিছিলের তারিখ ঠিক করা হবে। ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে ওই কর্মসূচি নেওয়া হতে পারে।
রাজনৈতিক মহলের খবর, পুরভোটকে ‘পাখির চোখ’ করে তৃণমূলের পাশাপাশি বিজেপিও মাঠে নেমেছে। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সিএএ-র সমর্থনে ডালখোলায় মিছিল করেছেন। তৃণমূলের খবর, নতুন নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধেই ডালখোলায় সরব হবেন শুভেন্দু। ওই আইন সাধারণ মানুষের কাছে কত বিপজ্জনক তা বোঝাবেন তিনি। পাশাপাশি তুলে ধরবেন উন্নয়নের ছবি। তা ছাড়া পুরভোট নিয়ে জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন বলেও খবর।
জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, ‘‘ডালখোলায় মিছিলের বিষয়ে ওঁর সঙ্গে কথা হয়েছে। তবে তারিখ এখনও ঠিক করা হয়নি। তার প্রস্তুতি চলছে।’’
শনিবার ইসলামপুর ও ডালখোলায় পুরভোট নিয়ে বৈঠক করেন দিলীপ। বিজেপি সূত্রে খবর, সেখানে পুরসভা দখলের রণকৌশল ঠিক করেন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত লোকসভা নির্বাচনে ইসলামপুর ও ডালখোলা শহরে বিজেপি এগিয়েছিল। অন্য দিকে ইসলামপুর পুরসভা এখন তৃণমূলের দখলে। ডালখোলা পুরসভার মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে। বর্তমানে তা প্রশাসকের দায়িত্বে রয়েছে। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, এই দুই পুরসভায় লোকসভা ভোটের ব্যবধান ধরে রাখতে পারলে বিজেপি জয়ের ক্ষেত্রে অনেকটা এগিয়ে থাকতে পারে।
তবে জেলাবাসীর একাংশের মতে, লোকসভা ভোটের সঙ্গে পুরভোটের মিল থাকে না। পুরসভা ভোটে গুরুত্ব পায় স্থানীয় বিভিন্ন বিষয়। কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে জয়ে অনেকটাই স্বস্তি ফিরেছে তৃণমূলের। শাসকদলের বক্তব্য, নতুন নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে ভয় রয়েছে। তবে বিজেপি জেলা নেতৃত্বের দাবি, বিরোধীরা নাগরিকত্ব আইন সম্পর্কে ভুল বোঝাচ্ছে।