Suvendu Adhikari

নিয়োগপত্র: শুভেন্দু সরব, পাল্টা রাজ্যের

প্রশাসনের তরফে অবশ্য পাল্টা জানানো হয়েছে, সংস্থা ও প্রার্থীদের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসাবে বিষয়টি দেখছে একটি বণিকসভা। তাই এই ধরনের অভিযোগ করা ঠিক নয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৬:১৩
Share:

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ফাইল চিত্র।

‘উৎকর্ষ বাংলা’য় নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন তিনি। সেটি ছিল টাটা মোটরসের। তাঁকে ‘অন জব ট্রেনিং’য়ে গুজরাতের সানন্দে যেতে বলা হয়েছিল। কিন্তু পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার যুবক কুশল দে-র দাবি, যে ১৫ সেপ্টেম্বর তিনি নিয়োগপত্রটি পান, সেটাই ছিল যোগদানের দিন। তাঁর আরও দাবি, কোনও সমস্যা হলে কার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন, সেটাও বলা ছিল না নিয়োগপত্রে। বিষয়টি নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই উদাহরণ দিয়ে নিজের টুইটার হ্যান্ডলে অভিযোগ করেছেন, নিয়োগপত্র বিলির নামে কর্মপ্রার্থীদের প্রতারণা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে তাঁর কটাক্ষ, সিঙ্গুরে আন্দোলনের মাধ্যমে টাটা মোটরসকে রাজ্য ছেড়ে সানন্দে যেতে বাধ্য করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এখন বাংলার চাকরিপ্রার্থীদের প্রশিক্ষণের নিয়োগপত্র দিয়েও সেখানেই পাঠাচ্ছেন।

Advertisement

প্রশাসনের তরফে অবশ্য পাল্টা জানানো হয়েছে, সংস্থা ও প্রার্থীদের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসাবে বিষয়টি দেখছে একটি বণিকসভা। তাই এই ধরনের অভিযোগ করা ঠিক নয়।

কুশল নিজে জানাচ্ছেন, ১৫ সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানের দিন নিয়োগপত্রটি হাতে পেয়ে খুলে তিনি দেখেন, সে দিনই তাঁকে কাজে যোগ দিতে বলা হয়েছে। চিঠিতে সংস্থার কোনও ব্যক্তির নাম ও যোগাযোগের নম্বরও দেওয়া ছিল না বলে তাঁর দাবি।

Advertisement

গোটা ঘটনায় সুরাহা চেয়ে কুশলেরও মন্তব্য, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, রাজ্যে কাজের প্রচুর সুযোগ। তা-ও আমাদের গুজরাতে যেতে হচ্ছে কেন? আর সেই কাজের সুযোগ ঘিরে এত বিভ্রান্তিই বা কেন?’’

প্রশাসনিক সূত্রের অবশ্য বক্তব্য, এই ধরনের ঘটনাগুলির ক্ষেত্রে প্রত্যেকেই কাজে যোগদানের সুযোগ পাবে। আর এই গোটা বিষয়টা বণিকসভা সিআইআই দেখভাল করছে। এর আগে যে ১০৭ জনকে নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল, তাঁরাও প্রত্যেকে অতিরিক্ত নিয়োগপত্র পেয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। প্রশাসনের আশ্বাস, রাজ্য সরকার সদা সতর্ক রয়েছে। যে হেতু নিয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে বণিকসভাটি কথা বলছে, তাই তারাই সমস্যার সমাধান করবে। বণিকসভাটি নিজেরাই এই বিষয়টিতে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে সাহায্য করছে বলে দাবি প্রশাসনের ওই সূত্রের।

তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘এগুলি সরকারি বিষয়। নির্দিষ্ট করে এই ঘটনার কথা আমার জানা নেই। তবে এই রকম কোনও ঘটনা ঘটে থাকলে নিশ্চয়ই প্রশাসনিক তরফে যাঁরা দায়িত্বে আছেন, তাঁরা বিষয়টি দেখবেন। অভিযোগের সারবত্তা থাকলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবেন।’’ আর শুভেন্দুকে পাল্টা খোঁচা দিয়ে পিংলার বিধায়ক তথা তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি বলেন, ‘‘শুভেন্দু অধিকারীরা দিদির সঙ্গে টাটাদের ঝগড়া দেখাতে চাইছেন। কিন্তু টাটার প্রতিনিধিরা মঞ্চে দাঁড়িয়ে সে দিন যে ভাবে দিদির প্রশংসা করেছেন, তাতে ওঁরা (শুভেন্দুরা) মাথা ঠিক রাখতে পারছেন না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement